যুব বিশ্বকাপ মঞ্চে সবশেষ ভারত ও বাংলাদেশের দেখা হয়েছিল পচেফস্ট্রুমে, ২০২০ সালের ফাইনালে। স্নায়ুক্ষয়ী ফাইনালে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
এবার ফাইনাল নয়, কোয়ার্টারেই মুখোমুখি দুই পরাশক্তি। নর্থ স্ট্যান্ডে শনিবার দুই দল মাঠে নামছে। গতবারের রানার্সআপদের বিপক্ষে এবারও জয়ের প্রত্যাশায় শিরোপাধারীরা। অধিনায়ক রাকিবুল হাসান জানালেন, ফিয়ারলেস ও পজিটিভ ক্রিকেট খেলতে পারলেই আসবে প্রত্যাশিত জয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় রাকিবুল বলেছেন, ‘শেষ দুই ম্যাচ জিতে দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাসও আছে। দলের ব্যাটসম্যান ও বোলাররা ভালো করেছে। নিজেদের স্কিলের ওপর আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। চেষ্টা করবো মাঠে আমাদের স্কিল শতভাগ বাস্তবায়ন করার। ওদের সাথে ফিয়ারলেস ও পজিটিভ ক্রিকেট খেলবো, যাতে আমরা ভালো একটা ফল নিয়ে বের হয়ে যেতে পারি।’
বিশ্বকাপ মঞ্চে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। দূর্বার ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায় শুরুতেই। পরের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে বাংলাদেশ নিশ্চিত করে কোয়ার্টার ফাইনাল। কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচে বোলারদের পাশাপাশি ব্যাটসম্যানরা জ্বলে ওঠেন। কানাডার বিপক্ষে ৮ উইকেটে এবং আমিরাতের বিপক্ষে জয় পায় ৯ উইকেটে। দুই ম্যাচে ফিল্ডিং ছিল নজরকাড়া। তাতে বড় আশা দেখাচ্ছেন নাবিল, আইচ, মাহফিজুলরা।
বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের আগে কলকাতায় ভারত যুব দলের দুটি দলের বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিল বাংলাদেশ। তিন দলের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। সেখান থেকে প্রেরণা পাচ্ছেন রাকিবুলরা, ‘ভারতের সাথে আগেও আমাদের বেশ কিছু ম্যাচ খেলা হয়েছে। এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ ও একটা সিরিজ খেলেছি ওদের ওখানে গিয়ে। ওদের শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে জানা আছে। যে পরিকল্পনা করে আমরা যাবো, সেটা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি, ছোট ছোট ভুল গুলো যদি আমরা কম করি তাহলে আমাদের ভালো সুযোগ থাকবে।’
ম্যাচের আগে কয়েকদিনের বিশ্রাম ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মিত অনুশীলনের পাশাপাশি ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের ভেতরে ম্যাচ খেলেছে যুবারা। তাতে ভুলগুলো শুধরানোর পাশপাশি নিজেদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রেখেছে দল। রাকিবুল শেষে বললেন, ‘আমরা ফলের চিন্তা করছি না। আমরা পজিটিভ, ফেয়ারলেস ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবো।’