সুমন আহমেদ বিজয়ঃ
লাখাইয়য়ে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রী কে শিক্ষক কর্তৃক শ্লীলতাহানির অভিযোগে অত্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সোহেল রানা নামে এক সহকারী শিক্ষক কে গ্রেফতার করেছে লাখাই থানা পুলিশ।
১৫ নভেম্বর রোজ বুধবার
লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ নুনু মিয়ার নির্দেশনায় এসআই মৃদুল কুমার ভৌমিকের নের্তৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়,গত মঙ্গলবার বেগুনাই মাদনা এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল রানা ৯ম শ্রেণির ছাত্রী কে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করে এবং গতকাল বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয় ।
বেগুনাই মাদনা এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল রানা গ্রেফতার হওয়ার আগ-মুহুর্তে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট,আমি এবিষয়ে কিছুই জানি না।আমি এ বিষয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।আমি এবিষয়ে আপনাদের কে নিয়ে কিছু দিনের মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করব।
বেগুনাই মাদনা এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্র বৈষ্ণব জানান বিষয়টি শুনছি,তবে ঘটনা টি সত্য মিথ্যা এই মুহূর্তে বলতে পারতেছিনা,ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, ইউএনও মহোদয় কে বিষয়টি অবগত করেছি।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান আমি এবিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি এবং সন্ধায় বেগুনাই মাদনা এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্র বৈষ্ণব এবিষয় টি আমাকে অবগত করেছেন। আমি ৩ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করব,তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ নুনু মিয়া জানান, এবিষয়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীর বড় ভাই রনি বাদী হয়ে লাখাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এফআইআর গন্যে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আসামী সোহেল রানা কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী বলেন পরীক্ষা শেষে আমি ভাবছি শিটের জন্য স্যার ডাকছে, আমি গেলাম স্যার বলছে দরজার চিপায় দাঁড়াও, দাঁড়ানো থাকা মাত্রই স্যার এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার ঠোঁটে কিস করছে এবং আমাকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করছে।