জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের মানুষ যখন ভোট উৎসবের অপেক্ষায় তখন বিএনপি বলে বেড়াচ্ছে তারা নাকি দেশে নির্বাচন করতে দেবে না। বিএনপি কখনোই নির্বাচন বন্ধ করতে পারে না। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া, জিয়াউর রহমান ও এরশাদ পারেনি। তারাও পারবে না।
দেশের জনগণ তাদের রুখে দেবে।
আজ বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় পৌর পয়েন্টে আয়োজিত নৌকার সমর্থনে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এম এ মান্নান বলেন, বিএনপি এখন কৌশল করছে। তারা লুকিয়ে লুকিয়ে প্রচার করছে, মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্রে না যায়।
ভোটার উপস্থিতি কম হলে কেঁদে কেঁদে যুক্তরাষ্ট্রকে বলতে চায়, দেশের মানুষ এখন নির্বাচন চায় না। এ জন্য মানুষ ভোটভেন্দ্রে যায়নি। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের এ কৌশল বুঝে গেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের ভোট উৎসব হবে।
’মন্ত্রী আরো বলেন, আমি হাওরের মানুষ। গ্রামের মানুষের দুঃখ কষ্ট দেখেছি।সরকারি চাকুরিতে থাকা কালে গ্রাম আর শহরের উন্নয়ন বৈষম্য দেখে মন কষ্ট পেয়েছি। শেখ হাসিনা এসব উন্নয়ন বৈষম্য দূর করতে চান।আগামী তে ক্ষমতায় গেলে গ্রাম আর শহরের উন্নয়ন বৈষম্য দূর করতে কাজ করব। আমার নিজ জেলা সুনামগঞ্জ অবহেলিত ছিল। হাওরের জেলা হিসেবে উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় সুনামগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। আগামীতে বিমানবন্দর সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের মুল স্রুতধারায় নিয়ে আসব।
তিনি সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম রানীগঞ্জ সেতু, জগন্নাথপুর কৃষি ইনস্টিটিউট, মেডিকেল অ্যাসিসেন্ট মেট স্হাপন, বিদ্যুৎ সমস্যা দূরিকরন,জগন্নাথপুর কলেজ কে সরকারি কলেজে রূপান্তর সহ নানা উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, আগামীতে নির্বাচিত হয়ে কৃষি ইনস্টিটিউট কে কৃষি কলেজে রূপান্তর, জগন্নাথপুরে মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা ও জগন্নাথপুর বিশ্বনাথ রশিদপুর সড়ককেন সড়ক ও জনপথে স্থানান্তর ও জগন্নাথপুর পৌর শহরের যানজট নিরসনে বাইপাস কিংবা উড়াল সড়ক নির্মাণের আশ্বাস দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমার ১৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এটা আমার শেষ নির্বাচন। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে গ্রাম আর শহরের উন্নয়নবৈষম্য দূর করতে কাজ করব। গত ১৫ বছর আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় আমি গ্রামের মানুষের জন্য কিছু কাজ করতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে কাজের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ায় আমি তাঁর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করতে চান।
তিনি গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করতে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে তাদের পাশে রয়েছেন। সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে দিয়ে। এসব কাজে সঙ্গী হতে পেরে আমিও খুশি।’
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সিদ্দিক আহমেদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ শামীম আহমেদ, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খানম সাথী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম রিপন,সাবেক ছাত্র নেতা মান্না রায়,যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাসনাত আহমেদ চুন্নু উপজেলা ছাত্র লীগ সভাপতি আব্দুল মুকিত, সাধারণ সম্পাদক তাহা আহমেদ প্রমুখ ।
সভায় যুক্ত রাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সৈয়দ আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন।