কোরবানির হাট, গরু আছে, ক্রেতা নেই

প্রকাশিত: ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২৪ | আপডেট: ৯:১৫:পূর্বাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২৪

 

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কোরবানির হাটে জমে উঠছে।
গতকাল বুধবার পৌরশহরে এবার সবচেয়ে বড় কোরবানির হাট বসে। তবে ক্রেতা রসংখ্যা নিতান্ত কম ছিল।
সকাল থেকে শহরের হেলিপ্যান্ড এলাকায় পশুর হাট বসে। বিপুল সংখ্যা গবাদিপশু হাটে আসায় হাটটি শহরের প্রায় আধা কিলোমিটারজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা (বিক্রেতা) কোবানির পশু নিয়ে হাটে আসেন। তবে গরু ও ছাগল হাটে প্রচুর এলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি কম ছিল। যেকারণে বেচাকেনা তুলনামূলক কম হয়েছে। অনেক বিক্রেতায় দীর্ঘসময় হাটে থেকেও চাহিদা অনুয়ায়ি দাম পেয়ে গবাদি পশু নিয়ে ‘আগেভাগেই’ বাজার থোক চলে গেছেন।

জগন্নাথপুরের নলুয়া হাওরপাড়ের বেতাউকা গ্রামের কৃষক জাকির মিয়া ৬টি দেশি গরু নিয়ে এসেছিলেন হাটে। বিক্রি করতে পারেননি একটিও। জাকির মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, সকালে এসেছিলাম হাটে। দীর্ঘ ৭ থোক ৮ ঘন্টা হাটে বসেও অসল সময় কাটালাম। একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি। তিনি জানান, হাটে সর্বোচ্চ গবাদিপশু আসলেও ক্রেতা একদম কম। এজন্যে চাহিদা অনুয়ায়ী দরে বেচাবিক্রি হয়নি। যেকারণে দিন থাকতেই বাড়ী ফিরে যাচ্ছি।

তবে ক্রেচাদের জানিয়েছেন, অন্যবছরের তুলনায় এবার পশুর দাম বেশি। আর ঈদের আরও কয়েকদিন বাকী থাকায় দামদর যাচাই-বাছাই করছেন অনেকেই। এছাড়া স্থানীয়রা ঈদের শেষ মুর্হুতে কোরবানির পশু ক্রয় করে থাকেন সাধারণত। কারণ হিসেবে লালন পালনে সুবিধায় পড়তে হয়। এজন্যে ঈদের শেষ পর্য়ায়ে তাঁরা কোরবানির পশু কিনতে পছন্দ করেন।

হাটে আসা বাবুল মিয়া নামের এক ক্রেতা জানান, হাটে প্রচুর কোরবানির পশু উঠলেও দর বেশি। গত বছর যে যে সাইজের গরু ৬০ হাজার টাকায় কেনা গেছে, এবার সেই সাইজের গরুর দাম ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা। তাই বাজার যাচাই বাছাই করছি। এখনও গরু কেনা হয়নি।

কোরবানির হাটের ইজারাদার মকবুল হোসেন ভূঁইয়া জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় থেকে প্রচুর কোরবানির পশু হাটে এসেছে। সে তুলায় ক্রয় বিক্রয় তুলনামূলক কম। আগামী রোববারের শেষ হাটে জমজমাট বেচাবিকি হবে হবে তিনি জানিয়েছেন।