সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
সুনামগঞ্জে কৃষক তখলিছ মিয়া হত্যা মামলায় লিটন মিয়া (৩৫) ও মো. সুমন মিয়া (৩৩) নামের দুই সহোদরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সুনামগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি) অ্যাডভোকেট মল্লিক মঈন উদ্দিন সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর পৌণে ১টায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে জানাযায়, জেলার জগন্নাথপুর দাওরাই জামারগাঁও গ্রামের তখলিছ মিয়া ও একই গ্রামের বারিক মিয়ার মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে বসত বাড়ির চলাচলে রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে ২০২০ সালের ২৩ মে সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে তখছিল মিয়া গরু নিয়ে বাড়ির রাস্তা দিয়ে বসত বাড়িতে উঠার সময় লিটন মিয়া, সুমন মিয়া তাদের বাবা বারিক মিয়াসহ আসামিরা তখলিছ মিয়ার উপর দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করে। প্রতিপক্ষের হামলায় তখছিল মিয়া মাটিতে লুটয়ে পড়লে তার ছেলে কবির মিয়া সহ স্বজনরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে জগন্নাথপুর উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২৪ মে উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ২৫ মে রাতে তখলিছ মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
এঘটনায় তখছিল মিয়ার ছেলে মো. কবির মিয়া বাদী হয়ে ২৬ মে জগন্নাথপুর থানায় প্রতিপক্ষের ময়না মিয়া, লিটন মিয়া, সুমন মিয়া, মো. খোকন মিয়া, শায়েখ মিয়া, সাজু মিয়া, বারিক মিয়া, সোনাফর মিয়া, ইমন মিয়া রুহুল আমিন ইয়াছিন মিয়া ও হুসাইন মিয়াকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক লিটন মিয়া ও সুমন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। অর্থদণ্ডের টাকা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আসামি ময়না মিয়া, মো. খোকন মিয়া, শায়েখ মিয়া, বারিক মিয়া, সোনাফর মিয়া, রুহুল আমিন, ইয়াছিন মিয়াকে বেখসুর খালাম প্রদান করেন এবং সাজু মিয়া, ইমন মিয়া, হুসাইন মিয়া শিশু হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শিশু আদালতে মামলা চলছে।