
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের হল রুমে সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভারপ্রাপ্ত সহকারি (কমিশনার) ভূমি শাহ জহরুল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় দিবসটি যথাযথভাবে পালনের বিষয়ে নানা সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হয়।
প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি গোলাম আপছার, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আবু মাসুদ, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা নিবাস চন্দ্র পাল, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ রেদওয়ান খান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শওকতুল ইসলাম, বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ শামীম আহমদ চৌধুরী,জামায়াতের নায়েব আমির মোঃ জাকির হোসেন, বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ও আব্দুস সালাম, সহকারি শিক্ষা অফিসার এখলাছ মিয়া,কুলাউড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত (রুটিন দায়িত্ব) মোঃ মশিউর রহমান, নবীন চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমির হোসেন, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মোঃ খালেদ পারভেজ বখশ, উপজেলা স্কাউট সম্পাদক মোঃ ফয়জুর রহমান চৌধুরী, পৌরসভা প্রশাসনিক কর্মকর্তা শরদিন্দু রায়, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা নাছিমা বেগম, উপজেলা আইসিটি অফিসার সেলিম বাবু, উপজেলা সহকারি যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ আপেল মাহমুদ, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ মিয়া, উপ সহকারি প্রকৌশলী রিপন চন্দ্র রায়, ভুকশি মইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুর রহমান মনির, কাদিপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক, সাংবাদিক মইনুল হক পবন ও হাবিবুর রহমান হোসাইন প্রমুখ।
সভায় শহিদ মিনারে রাত ১২ টা ০১ মিনেটে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সুর্যোদয় উদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি/ বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন (অর্ধনির্মিত) করে, সকাল ৮ টায় প্রভাতফেরি, সকাল ১০টা আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরন, সাংস্কৃতিক, পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে বলে সভায় জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত শাহ জহরুল হোসেন বলেন, ‘ভাষা শহিদদের স্মরণে এবং মাতৃভাষার মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ দিবসের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সভায় উপস্থিত অতিথিরা দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এবং সর্বস্তরের জনগণকে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়াও সভায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা, স্হানীয় স্থানীয় ইউপি ভারপ্রাপ্ত ও প্যানেল চেয়ারম্যান, গণমাধ্যমকর্মী এবং অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।