মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
বরণ্যে সাংবাদিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কলামিস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান বাবা-মায়ের কবরের পাশেই শায়িত হয়েছেন। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ি নিজ গ্রামে সর্বশেষ জানাজা শেষে পারিবারি কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
এর আগে সোমবার বেলা ২টায় সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহে তাঁর জানাজায় অংশ নেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুবিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃৃবন্দসহ সর্বস্থরের মুসল্লিগণ।
জানাজার আগে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুবিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত।
সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, তাঁর বড় ভাই সুনামগঞ্জ জেলা রেডক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান পীর, ছোট ভাই সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট পীর ফজলুরর রহমান মিসবাহ, ছেলে ব্যারিস্টার আনাফ ফাহিম অন্তর।
রোববার ঢাকা থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তা^র প্রতি শ্রদ্ধা জানান সিলেটবাসী। এর রাতে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় সুনামগঞ্জের বাসায়। সেখানে পীর হাবিবের মরদেহবাহী এ্যাম্বুলেন্স দেখেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় পীর হাবিরে মরদেহ রাখা হয় সুনামগঞ্জ পৌর চত্বরে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুটের নেতৃত্বে জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখতের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এসময় স্মৃতিচারণ করেন সাংবাদিক হাবিরের সহকর্মীবৃন্দ। পীর হাবিব শনিবার বিকেলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে মুম্বাইয়ের জাসলুক হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের মাধ্যমে ক্যানসার মুক্ত হন পীর হাবিবুর রহমান। কিন্তু গত ২২ জানুয়ারি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর পরামর্শে তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনামুক্ত হলেও কিডনি জটিলতার কারণে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন।