
সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ২৪ এপ্রিল থেকে সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হবে। তিনি বলেন, সরকার কৃষক ও কৃষিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
বৃহষ্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের পাশে দেখার হাওরের পাড়ে গোবিন্দুপুর গ্রামের কৃষক আলী হোসেনের ক্ষেতের পাকা ধান কেটে অনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে কৃষি উপদেষ্টা আরও বলেন, দেখার হাওরের ভেতরে ধান কাটা ও মারাই শেষে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য সাবমারজেবল পাকা সড়ক নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও সুবিধাজনক স্থানীয় ¯øুইস গেট নির্মাণ ও হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ২টি পাওয়ার পাম্প বসানো হবে।
এসময় জেলার অন্যতম বৃহত্তম হাওরের আগাম বন্যা থেকে করচার হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় নির্মিত গজারিয় রাবারড্যাম এক সপ্তাহের মেরামত করে উপযুক্ত করার নির্দেশ দেন উিপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানিকভাবে ধানকাটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, সিলেটের কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরেরর অতিরিক্ত পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ, সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তাফা ইকবাল আজাদ প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে উপদেষ্টা জেলার শান্তিগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত, এবার সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলায় ২২ লাখ ৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে বোরা ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৭ হাজার ৫৫০ হেক্টর হাইব্রিড ধান, ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৮২ হেক্টর উচ্চ ফলন শীল (উফসী) ধান, ৯৭০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় ধান আবাদ করা হয়েছে। যার সম্ভাব্য উৎপাদন ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮০ মেট্রিক টন ধান। যার চালে হবে ৯ লাখ ২১ হাজার ৪১৩ মেট্রিক টন। যার আনুমানিক মূল্য দাড়াবে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।