জগন্নাথপুরে ৮৫ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ/ ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণি

প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫৪:পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২৫

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরের বোরো ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে।

আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত ৮৫ ভাগ জমির ধান কর্তৃন হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, এরইমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন কয়েকটি ছোট ছোট হাওরের ধান কাটা সম্পন্ন হয়ে গেছে। জগন্নাথপুরের সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরের ধান ৮০ ভাগ কাটা শেষ। এছাড়াও ছোট কয়েকটি হাওরে ১৫ থেকে ২০ ভাগ জমির ফসল কাটার বাকি রয়েছে। সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তাঁরা। এবার ফলন বাম্পার হাওয়ায় লক্ষমাত্রা ছড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সরজমিনের কয়েকটি হাওর ঘুরে দেখা যায়, চলতি বোরো ফসলের পাকা ধান গোলায় তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক-কৃষানি ও শ্রমিক ও কৃষি পরিবারের লোকজন। জগন্নাথপুরের সবচেয়ে বড় নলুয়ার হাওরে এখনও পাকা ধান কাটছেন শ্রমিকরা। কেউবা মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত। আবারও খলায় ধান শুনানোর কাজে কৃষকের পাশাপাশি কৃষানি ঘামছড়া পরিশ্রম করছেন। তাদের সহযোগিতা করছেন পরিবারের ছোট বড় প্রায় সব বয়সি লোকজন। প্রথম দিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শঙ্কা থাকলেও পরে তা কেটে যায়। বড়ধরনের কোন ঘটেনি কোন সংকট। ফলে স্বস্তি নিয়ে হাওরে শুরু হয় ধান কাটার ধুম। এবারে ফলনে কৃষকের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। নলুয়া হাওরের ভুরাখালি গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান বলেন, সব শঙ্কা কাটিয়ে কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটনার আগেই হাওরের ধান কাটাও শেষ পযার্য়ে। এরইমধ্যে ৮০ ভাগ ধান কর্তৃন শেষ। সপ্তাহখানিক মধ্যেই শতভাগ ধান কাটার কাজ শেষ হয়ে যাবে। এবারে ভালো ফসল হওয়াতে আমরা খুশি। মইয়ার হাওরের কৃষক মির্জা কাজল মিয়া বলেন, এ হাওরের ধান কাটার প্রায় শেষ। আমি এবার ৮ কেদার জমিনে আবাদ করছি। এসব জমির ফসল কর্তৃন সম্পন্ন। এখন মাড়াই এবং শুকানোর কাজ কাজ চলছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এবছর জগন্নাথপুরের ছোট বড় ১৫টি হাওরে ২০ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিনে বোরো আবাদ হয়েছে। এরইমধ্যে মইয়ার হাওরের শতভাগ উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, জগন্নাথপুরে এখন পর্যন্ত গড়ে ৮৫ ভাগ জমির ধান কাটার কাজ শেষ । ছোট ছোট হাওরে ধান কাটার কাজ শেষ পযার্য়ে। এরমধ্যে মইয়ার হাওরে শতভাগ ধান কাটার কাজ সর্ম্পূন হয়ে গেছে। আশা করছি, সপ্তাহখানিকের মধ্যে সব কটি হাওরে ধান কর্তৃন সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, এবার বাস্পার ফলনের কারণে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এবছর বোরো ফসলের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৭ মেট্রিক টন।