মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৬ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি।
সংঘর্ষে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এক সদস্যও নিহত হন বলে জানা গেছে। এদিকে, দেশটির রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মিদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষে দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের কায়াহ রাজ্য এবং সাগাইং অঞ্চলে ছায়া সরকারের পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর দিনব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, সোমবার সকালে জান্তা সরকারের সেনাসদস্যদের গাড়ি লক্ষ্য করে মাইন হামলা চালায় ছায়া সরকারের সশস্ত্র গোষ্ঠী। মাইন বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
দিনব্যাপী দুই পক্ষের ব্যাপক গোলাগুলিতে সেনাসদস্য ও বিদ্রোহী বাহিনীর কয়েক সদস্য নিহত হন। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এ সময় কয়েকজন সাধারণ নাগরিকও আহত হন।
এ ঘটনার আগেও রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জান্তা বাহিনীর গাড়িতে মাইন হামলা চালায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এ সময় আরও কয়েকজন জান্তা সেনাসদস্য নিহত হন।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানায়, কালে শহরে যাওয়ার পথে সামরিক বাহিনীর গাড়িবহর লক্ষ্য করে দুটি ভিন্ন স্থানে আরও তিনবার মাইন পুঁতে রাখা হয়। এসব হামলায় কতজন হতাহত হয়েছেন, সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে দুদিনে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় সেনাসদস্য নিহতের ঘটনায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, সোমবার মিয়ানমারের আরেক রাজ্য রাখাইনে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষে দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। স্থানীয়রা জানান, এদিন রাতে প্রায় ২০ মিনিট ধরে বন্দুকযুদ্ধের শব্দ পাওয়া যায়। পরে সকালে দুজনের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
গেল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সু চির মুক্তির দাবি ও জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়েছেন অনেকে।