বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সাবেক মন্ত্রী, বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। ১৯৮৪ সালের এই দিনে মারা যান তিনি। ওসমানীর জন্ম ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর পিতার কর্মস্থল সুনামগঞ্জে। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জের ওসমানী নগরের দয়ামীরে। তিনি প্রথমে ব্রিটিশ আর্মিতে যোগ দেন। বাঙালিদের মধ্যে ব্রিটিশ আর্মির সর্বকনিষ্ঠ মেজর ছিলেন তিনি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে থাকাকালে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। পরে কর্নেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
আতাউল গণি ওসমানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে সত্তরের নির্বাচনে এমএনএ নির্বাচিত হন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রধান হিসেবে অসামান্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেন তিনি। তবে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে ১৯৭৫ সালে সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করে জনতা পার্টি নামে আলাদা রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি। ১৯৭৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ওসমানী।
দিবসটি উপলক্ষে মরহুমের পরিবার ও বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দল এবং সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, নগরীতে হযরত শাহজালালের (রঃ) মাজার প্রাঙ্গণে ওসমানীর কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, কবর জিয়ারত, পবিত্র ফাতিহা পাঠ, মোনাজাত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা, স্মরণসভা রয়েছে।