ভারতের কর্ণাটকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করা হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
তিনি বলেন, ‘ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানদের রক্ত সবচেয়ে বেশি ঝরেছে। অথচ মোদি সরকার হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার নামে ভারতকে ইসলামশূন্য করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। হিজাব মুসলিম নারীর সাংবিধানিক অধিকার। সেটাই পরতে দেওয়া হচ্ছে না। ইসলাম বিরোধিতার জন্য তাদেরকে খেসারত দিতে হবে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে ফয়জুল করীম বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম বাড়ছে। বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকার দেশকে নীরব দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’ তিনি পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি সম্মেলন বন্ধের দাবি জানান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা নেছার উদ্দীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলাম, দক্ষিণের সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ডা. শহীদুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম নাঈম, কে এম শরীয়তুল্লাহ, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, সাব্বির আহমাদ ও নাঈম বিন জামশেদ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে দলটির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়। পল্টন মোড় ঘুরে কাকরাইল হয়ে ফের বায়তুল মোকাররমে গিয়ে শেষ হয় মিছিল।