স্টাফ রিপোটারঃ
কুলাউড়ায় সম্মেলনের দুই বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগ।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এ কমিটি অনুমোদনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দনে ভাসছেন নতুন নেতারা। অন্যদিকে পদ বঞ্চিত নেতাকর্মী আবার পদ পেলেও সঠিক জাযগায মুল্যায়ন না হওয়াতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কমিটিতে ৯ জনকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। তিনজন করে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
এর আগে, ২০১৯ সালের ১০ নভেম্বর কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম রেনুকে সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমানকে সহ-সভাপতি, আসম কামরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মতিন এবং আব্দুল মুক্তাদির তোফায়েলকে নির্বাহী সদস্য মনোনীত করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। সম্মেলনের প্রায় দুই বছর পর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।
কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে স্থান পেয়েছেন- ডা. রোকন উদ্দিন আহমদ, অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম, শফিউল আলম শফি, অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, অধ্যাপক সিএম জয়নাল আবেদীন, মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, মনসুর আহমদ চৌধুরী ও কামাল হাসান। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্থান পেয়েছেন- শ্রী গৌরা দে, অধ্যক্ষ আব্দুল কাদির ও মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে স্থান পেয়েছেন- ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মমদুদ হোসেন, বদরুল হোসেন বদর, মো. জামাল হোসেন। আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মইনুল ইসলাম সোহাগ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান, দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী তরিক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন চিনু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. আমিন উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আশারাফ চৌধুরী শিপু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রিনা বেগম চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রজব আলী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. রাজিব সারোয়ার রনি, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ হাসান রানা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রাম বিলাশ দোসাদ নানকা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক বিমুলেন্দু সেন কৃস্ন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. অনুরাভ দে, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হাই শামীম, সহ-প্রচার সম্পাদক রুবেল আহমদ ও কোষাধ্যক্ষ খালেদ আহমদ।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে সাবেক সচিব, সাবেক অতিরিক্ত সচিব, ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকসহ ৩৫ জনকে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান বলেন, নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক এক ঝাঁক নেতা স্থান পেয়েছে। সবমিলে একটি শক্তিশালী কমিটি হয়েছে।