আনা হয়েছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার সময়সীমা। আগে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ছয় মাস পর বুস্টার ডোজ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেটি কমিয়ে এনে চার মাস করা হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে, সেদিন থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে।
বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ২৬তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, আমরা সফলভাবে টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। করোনাকালীন সময়ে যখন সব সেবা বন্ধ ছিল, আমরা আমাদের হাসপাতালগুলোতে সব সেবা কার্যক্রম চালিয়েছি। করোনার পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীদেরও সেবা দিয়েছি। এখন করোনা সংক্রমণ কমে এসেছে, এখনো আমরা একসঙ্গে দুটি সেবাই চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ ক্যাম্পেইন হাতে নিয়েছে সরকার। প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ মিলে ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ৩ কোটি ২৫ লাখ মানুষকে করোনা টিকা দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শিশুদের টিকা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। তাদের অনুমোদন পেলে দেশে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ আরও অনেকে।