বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ।
গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্ধারিত সময়েই দলের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হবে বলে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা গেছে। তবে তার আগে অর্থাৎ নভেম্বরের মধ্যে দলের তৃণমূল এবং সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী তৃণমূল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের কাজ চলছে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সাধারণত সঠিক সময়ে হয়। তা ছাড়া এখনো তৃণমূলের সম্মেলনের প্রায় অর্ধেক বাকি রয়েছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, মৎস্যজীবী লীগ ও তাঁতি লীগের ঢাকা মহানগর কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এ ছাড়া সারাদেশে অর্ধেকের বেশি সাংগঠনিক জেলায় এসব কমিটির মেয়াদ শেষ। এ ছাড়া নেতা বনাম এমপির কোন্দল নিরসন, অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করে দল থেকে বের করাসহ অনেক কাজ বাকি রয়েছে। এতসব কাজ ৮ মাসের মধ্যে শেষ করা কঠিন। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু টানেল, পদ্মা সেতু ও আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধনসহ অনেকগুলো উন্নয়নমূলন কাজের জন্য ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ব্যস্ত থাকবেন। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগে দলীয় সম্মেলনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘গত বছরের মাঝামাঝিতে দলের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আগাম সম্মেলনের বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এর পর থেকে সম্মেলন নিয়ে নানামুখী আলোচনা হতে থাকে। পরবর্তী সময়ে দলের সভাপতি শীর্ষ নেতাদের ডেকে নিয়ে তৃণমূল সম্মেলনের জোর তাগিদ দেন। এর পর থেকে বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সম্মেলন, বর্ধিতসভা, কর্মিসভাসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। রমজানেও বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও ইউনিট সম্মেলনের কাজ অব্যাহত রেখেছেন দলের নেতারা।’
দলের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। সেপেম্বরের মধ্যে ছাত্রলীগের সম্মেলন। নভেম্বরের মধ্যে সব সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন করার নির্দেশনা রয়েছে।
গত ২ এপ্রিল শনিবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠানে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন হবে বলে আভাস দেন। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করার জন্য নীতিনির্ধারণীয় পর্যায়ের এ নেতা এমন বক্তব্য দিয়েছেন কিনা, জানতে চাইলে দলের সভাপতিমণ্ডলীর অন্তত পাঁচ সদস্য বলেছেন, নেত্রীর নির্দেশনা অথবা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে গুঞ্জন রটানোর কিছু নেই। আওয়ামী লীগের সম্মেলন গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্ধারিত সময়েই হবে। এ নিয়ে আমাদের আটটি টিম কাজ করছে।
দলীয় সুএ জানায়,আওয়ামী লীগের রীতি হচ্ছে তিন বছর পর পর কেন্ত্রীয় সম্মেলন করা। সে অনুযায়ী ডিসেম্বরে দলের বর্তমান ত্রিবার্ষিক কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। যদি কোনো ধরনের দুর্যোগ-দুর্বিপাক না ঘটে তা হলে ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা মানসিক প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। দলীয় সুএে আরোও জানাযায় সবকিছু নির্ভর করবে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর। তার সময় ও সুযোগের ওপর নির্ভর করবে দলের সম্মেলন।