ঘরের বাইরে বেরোলেই মাথার উপর চড়া রোদ। বাড়ছে অস্বস্তিও। কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোনো ছাড়া গতি নেই। গরম থেকে স্বস্তি পেতে তাই অনেকেই চুমুক দিচ্ছেন বিভিন্ন ঠান্ডা পানীয়তে। স্বাদ নিচ্ছেন আইসক্রিমের। নরম পানীয় এবং আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। সাময়িক ভাবে স্বস্তি দিলেও এগুলি শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে ।
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে এই ধরণের ঠান্ডা পানীয়ের পরিবর্তে বেছে নিতে পারেন গ্রীষ্মকালীন ফল। আম, আঙুর, শশা, আনারস, তরমুজ— গরমে নানা রকম পানি জাতীয় ফলে বাজায় ছেয়ে যায়। তবে গ্রীষ্মে তরমুজের কদর খানিক বেশি। শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সমান ভাবে সাহায্য করে তরমুজ।
১০০ গ্রাম তরমুজে রয়েছে ০.৬ গ্রাম প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট আছে ৭.৬ গ্রাম, ফাইবারের পরিমাণ ০.৪ গ্রাম, তরমুজে জলের পরিমাণ প্রায় ৯১ শতাংশ। এ ছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, কপার, ভিটামিন বি৫, সাইট্রুলিন ও লাইকোপেনের মতো উপকারী সব উপাদান।
ওজন কমাতে কী ভাবে সাহায্য করে তরমুজ?
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রক্রিয়ায় এমন খাবার রাখা প্রয়োজন যেগুলিতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকবে। কিন্তু ফাইবার বেশি থাকবে। তরমুজ তেমনই একটি ফল। ১০০ গ্রাম তরমুজে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র তিন গ্রাম। তরমুজ খাওয়ার সবচেয়ে বেশি সুফল হল এতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি। ওজন কমাতে জলের ভূমিকা বলাই বাহুল্য। গরমে স্বাস্থ্য কমাতে চাইলে রোজের খাদ্যতালিকায় অনায়াসে রাখতে পারেন তরমুজ। এ ছাড়াও তরমুজে থাকা সাইট্রুলিন শরীরের বা়ড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। ওজন কমানোর পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ তরমুজ কোলেস্টেরল ও রত্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে।