কামাল মিয়া, ঈদে গ্রামের বাড়ি বগুড়া যাবেন। শুক্রবার রাত আটটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কাঙ্ক্ষিত টিকিট হাতে পেয়েছেন। তার মতো রুহুল, মাধবী, অনিকসহ অনেকেই চাঁপাই, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার টিকিট হাতে নিয়ে ভুলে গেছেন সারারাত দাঁড়িয়ে থাকার কষ্ট।
টিকিট কাটতে রাতে সেহেরি খেয়ে বেশিরভাগ মানুষ এসেছেন কমলাপুরে। শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছে। তাই মানুষের এই দীর্ঘ লাইন। যারা পাচ্ছেন তারা খুশি। অনেকে আবার দীর্ঘসময় লাইন ধরেও এখনও টিকিটের ব্যাপারে অনিশ্চিত।
যাত্রীদের অভিযোগ, একেকটি টিকিট কিনতে প্রায় পাঁচ মিনিট সময় লাগছে। এনআইডি বা জন্মসনদ দেখিয়ে টিকিট নিতে হচ্ছে।
কেন এত দেরি জানতে চাইলে তিন নম্বর কাউন্টারের বিক্রয়কর্মী জানান, সার্ভারে বেশি চাপ পড়ার কারণে একটু সময় লাগছে। তারপরও পর্যাপ্ত টিকিট রয়েছে। সবাই শৃঙ্খলা মেনে থাকলে টিকিট পাবেন।
দায়িত্বরত একজন আনসার সদস্য বলেন, লোকজন অনেক ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছেন। তেমন কোনো হৈচৈ করছেন না। তবে টিকিট পেতে তাদের সময় লাগছে। কিন্তু এবারে কোনো কালোবাজারি হচ্ছে না।
আগাম টিকিটসহ সার্বিক বিষয়ে কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, আজ কাউন্টারগুলোতে টিকিটপ্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। আজ ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, তাই ভিড় বেশি। তবে অগ্রিম টিকিট বিক্রির সব প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। আশা করছি সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশে ও সুশৃঙ্খলভাবে টিকিট বিক্রি করতে পারব। অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে।
জানা গেছে, অনলাইনে ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে। এ ছাড়া কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এক টানা অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে। প্রতিটি টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে একটি করে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কাউন্টার থাকবে। একজন যাত্রী এক সঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। বিক্রি করা ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। স্পেশাল ট্রেনের কোনো টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র স্টেশন কাউন্টারে বিক্রি করা হবে।