করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের সকল দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরে। বৃহস্পতিবার (৭ মে) জাপানভিত্তিক নিক্কেই এশিয়ার প্রকাশিত ‘নিক্কেই কোভিড-১৯ রিকভারি সূচকে’ এই তথ্য উঠে এসেছে।
মূলত করোনা মহামারির শুরু থেকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের শতাধিক দেশের কোভিড-১৯ মোকাবিলার এই পরিসংখ্যান নিক্কেই এশিয়ার সূচকে তুলে ধরা হয়েছে। সূচকে বিশ্বের ১২১টি দেশের মধ্যে রিকভারি ইনডেক্সে শীর্ষস্থানে রয়েছে কাতার।
তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কম্বোডিয়া ও রুয়ান্ডা। এরপরই তালিকার পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা, টিকাদান এবং এই মহামারি মোকাবিলায় সামাজিক তৎপরতার ওপর ভিত্তি করে এই সূচক প্রকাশ করা হয়। সূচকে কোনো দেশের যত উপরের দিকে অবস্থান হবে, দেশটি তত ভালোভাবে করোনাভাইরাস সামলে উঠছে বোঝাবে। এখানে তুলনামূলক কম সংক্রমণ ও মৃত্যু হার, ভালো টিকাদান পরিস্থিতি এবং চলাচলে কম বিধিনিষেধের বিষয়গুলো বোঝানো হয়।
এসব বিষয় বিবেচনায় ৮০ পয়েন্ট নিয়ে সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পরে রয়েছে নেপাল, বৈশ্বিকভাবে ষষ্ঠ অবস্থানে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এর পরে রয়েছে পাকিস্তান। বৈশ্বিকভাবে দেশটির অবস্থান ২৩তম (পয়েন্ট ৭০)। প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৭০ তম (পয়েন্ট ৬২ দশমিক ৫)। অর্থনৈতিক দুর্দশায় অস্থিরতার মধ্যে পড়া শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৩১তম (পয়েন্ট ৬৮)।