নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সাগরে। এটি আরও শক্তিশালী হয়ে আজকের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ তে পরিণত হতে পারে।
যদিও এর প্রভাব এখনও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় পড়েনি। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলের আরও কাছাকাছি এলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাসহ সুন্দরবন, সাতক্ষীরাসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এর গতিপথ ভারতের দিকে। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে ভারতের উপকূলসহ আশেপাশের এলাকায়।
জানা গেছে, নিম্নচাপটির গতিমুখ এখন উত্তর-পশ্চিম দিকে। এটি বারবার দিক বদলাচ্ছে। গত তিন দিনে তিন বার দিক বদলেছে। আর দিক পরিবর্তন না করে এভাবে অগ্রসর হলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর তা ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ‘আমরা এটি নিবিড়ভাবে মনিটরিং করছি। আগামী ১০ থেকে ১২ মের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানবে এটা নিশ্চিত। গভীর নিম্নচাপ হয়ে এটি আজ (রবিবার) ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
এর গতিপথের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ধারণ করা হচ্ছে, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূল দিয়ে যেতে পারে। বর্তমান হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে এর প্রভাব পড়বে। আমরা সমুদ্রবন্দরগুলোকে প্রাথমিক সতর্ক বার্তা দিয়ে দিয়েছি।’
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সানাউল হক মন্ডল বলেন, ‘নিম্নচাপের গতিপথ আপাতত উত্তর-পশ্চিম দিকে আছে। গতিপথ যে কোনো সময় যে কোনো দিকে মোড় নিতে পারে।’
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (মৌসুম ভবন) জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আজ রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আগামী ১০ মে ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমূল হক বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে পরবর্তী নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।