আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চাঞ্চল্যকর হাজার কোটি টাকা লোপাট মামলার মূল অভিযুক্ত ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা এই ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ।
তারা বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ২০১৬ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় পি কে হালদারকে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ইডির একজন কর্মকর্তা দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, আমরা হালদারকে রোববার আদালতে তুলবো। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ডেইলি স্টার জানায়, পি কে হালদারকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের ২টি কারণ আছে। এর একটি, বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক ইনটেলিজেন্স ইউনিট ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধ এবং দ্বিতীয়টি, তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে সেগুলো সেখানকার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত।
সূত্র মতে, ভারতে অনুপ্রবেশ এবং অবৈধভাবে ভোটার আইডি কার্ড, পারমানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর কার্ড ও আধার কার্ড সংগ্রহ করে ভারতীয় নাগরিক হওয়ার কারণে পি কে হালদারের শাস্তি হতে পারে।
গত জানুয়ারিতে ইন্টারপোল বাংলাদেশ সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ জারি করে।
পি কে হালদারের সঙ্গে তার আরও ৫ ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের একজন তার ভাই বলে ইডির কাছে পরিচয় দিয়েছেন।
পি কে হালদারের সহযোগীদের শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হলেও শনিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অর্থ পাচারের অভিযোগে এই সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে ইডি কলকাতা, অশোকনগর ও উত্তর চব্বিশ পরগণার অন্তত ১০টি স্থানে অভিযান চালিয়েছিল।