শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মত আন্দোলন চলছে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অভ্যন্তরীণ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ছাত্রীরা। শনিবার রাতে আন্দোলনরত ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগের পর ছাত্ররাও আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছেন। ফলে উত্তেজনা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনে সংহতি জানাতে যাওয়া ১০-১২ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলাকারীদের হাত থেকে তাদের বাঁচাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন আন্দোলনরত কয়েকজন ছাত্রী। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃন্ময় দাস ঝুটনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতারা এ হামলা চালান।
তবে, হামলার বিষয়টি ছাত্রলীগ নেতারা অস্বীকার করেছেন।
ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান বলেন, ‘রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পথ করে দিতে গেলে আন্দোলনকারীরা বাধা দেয়। তখন এ নিয়ে একটু হইচই হয়েছে তবে মারামারির ঘটনা ঘটেনি। আর ছাত্রলীগের কেউ ছিল না।’
শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দাবির বিষয়ে কথা বলেন। দাবি মানার বিষয়ে আশ্বাস দেন। তবে শিক্ষার্থীরা প্রভোস্ট কমিটির এখনই পদত্যাগ ঘোষণা ও ছাত্রলীগের হামলার বিচারের দাবি জানান। এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের বলেন, প্রভোস্টের পদত্যাগ এখনই সম্ভব নয়, বিষয়টি একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
এদিকে, শিক্ষার্থীরা প্রভোস্ট কমিটির এখনই পদত্যাগ ঘোষণা ও ছাত্রলীগের হামলার বিচারের দাবিতে রোববার সকাল থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আটকে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে শুক্রবার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।