বন্যা পরিস্থিত: বন্ধ থাকা বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলেও পানির কারণে অধিকাংশ স্কুলে শিক্ষার্থী যায়নি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বন্যা পরিস্থিতির

প্রকাশিত: ১২:১৪ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২২ | আপডেট: ১২:১৪:অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২২

 

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বন্যা পরিস্থিতির

কারণে বন্ধ থাকা ৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গতকাল শনিবার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে। তবে অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে,আঙিনায় ও যাতায়াত পথে এখনো পানি থাকায় এসব স্কুলে যায়নি শিক্ষার্থীরা।

বন্যার পানি কমে যাওয়ায় গতকাল থেকে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান চালু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ২০ মে থেকে জগন্নাথপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। ফলে কয়েকটি বিদ্যালয়ে খোলা হয় আশ্রয় কেন্দ্র। এতে আশ্রয় নেয় ৬০টি পরিবার। পরিস্থিতি বিবেচনায় উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় কর্তৃক গত ২২ মে থেকে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত বিদ্যালয়, বিদ্যালয় সড়ক ডুবে যাওয়া ও বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে এমন বিদ্যালয়গুলোর তথ্য সংগ্রহ করে উপজেলার ১৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৫ টি বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্যার পানি কমতে শুরু করলে শনিবার থেকে এসব বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়। তবে, উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ঐয়ারকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশকয়েকটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয় আঙিনাসহ যাতায়াত পথে পানি থাকায় পাঠাদান সম্ভব হয়নি। তাছাড়ার শিক্ষাকরা বিদ্যালয়ে গেলও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় যেতে পারেনি।

অভিভাবকরা জানান, এখনো বিদ্যালযের যাতায়াত পথে বানের পানি রয়েছে। এমতাবস্থায় শিশুদের জন্য বিদ্যালয় যাওয়া বিপদজনক। আরো কিছু দিন বিদ্যালয় বন্ধ রাখা প্রয়োজন।

সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, বন্যার পানিতে শ্রেণিকক্ষ গুলোতে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। লাইব্রেরিতে এখনও পানি রয়েছে। গতকাল অফিসের কাজ করা হলেও পাঠদান সম্ভব হয়নি।

উত্তর জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিনা খানম জানান, শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার থেকে আমরা বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করেছি। যাতায়াত পথে পানি থাকায় শিক্ষার্থী বিদ্যালয় আসতে পারেনি। তিনি বলেন, পানি কমলেও বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে এখনও বন্যার পানি রয়েছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাস বলেন, বন্যার পানি কমে যাওয়ায় আমরা বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান চালুর নির্দেশ দিয়েছি। তিনি বলেন, যাতায়াত পথে পানি থাকায় কয়েকটি বিদ্যালয়ে এখনো পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না।