জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আ.লীগের পাঁচ প্রার্থীর নাম চুড়ান্ত

প্রকাশিত: ১২:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২২ | আপডেট: ১২:৪৯:অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২২

 

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::

কেন্দ্রে নাম পাঠান, নেত্রী যাকে দলের প্রার্থী মনোনীত করবেন। আমরা তাঁর পক্ষে মাঠে কাজ করব। একক কোন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব পাঠালে দলে বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পারে। এমন দাবী করেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশিরা।
আজ বুধবার দুপুরে জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে দলীয় কার্যালয়ে এক বর্ধিতসভায় দলের প্রার্থিতা প্রস্তাবকালে তাঁরা এমন দাবী করেছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু’র পরিচালনায় সভায় নৌকা প্রত্যাশি ৯ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত ৯ জন হলেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, সহসভাপতি সিরাজুল হক, সাবেক সহসভাপতি হারুনুর রাশিদ, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মাষ্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা,

শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক মিন্টু রঞ্জন ধর ও সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জেলা পরিষদের সদস্য সাবিনা সুলতানা। তবে সভায় ৫ জন প্রার্থীর নাম চুড়ান্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন, সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম. সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, সাবেক সহসভাপতি হারুনুর রাশিদ ও শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক মিন্টু রঞ্জন ধর।

এদিকে ুসভায় দলের এক প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা দলের একক প্রার্থী সিদ্ধান্তের জন্য আহবান জানালে, এসময় ইচ্ছুক প্রার্থীরা জানান, আমাদের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হউক। কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড যাকে প্রার্থী চুড়ান্ত করবেন আমরা তাঁর পক্ষে কাজ করব।

উপজেলা আওয়ামী লীগের এক কর্মী জানালেন, দলীয়ভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে নির্বাচনে খেসারত নিতে হবে। দলের জয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধের বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা দাবী জানিয়েছি, বর্ধিতসভায় প্রস্তাবকৃত প্রাথীদের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য। আমাদের দলের সভানেত্রী যাকে মনোনীত করবেন আমরা তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।
দলের মনোনয়ন পেতে উচ্ছুক সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাবিনা সুলতানা স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, সভায় ৮জন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করা হয়। এরমধ্যে নারী প্রার্থী হিসেবে একমাত্র আমার নাম ছিল। বর্তমান সরকার নারী ক্ষমতায়নে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। কিন্তু সভায় চুড়ান্ত ৫ জনের নামের মধ্যে আমার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে আমি লিখিতভাবে কেন্দ্রে জানাব।

জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু বলেন, বর্ধিতসভায় ৮জন প্রার্থী তাঁদের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। এরমধ্যে সভায় ৫জনের নাম চুড়ান্ত হয়েছে। আমরা নামগুলি জেলা কমিটির নিকট জমা দেব। তাঁরা কেন্দ্রে প্রস্তাবিত নাম পাঠাবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন জগন্নাথপুর ও ওসমানিনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষনা করা হয়। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ি আগামি ২৭ জুলাই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৮ জুন। বাছাই ৩০ জুন ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৭ জুলাই। প্রতিক বরাদ্দ হবে ৮ জুলাই।