প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতুর কাজের মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতু বিশ্বের সেরা উপকরণে তৈরি করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত মানসম্পন্নভাবে তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং এর মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর পাইল বা মাটির গভীরে বসানো ভিত্তি এখন পর্যন্ত বিশ্বে গভীরতম। সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত এই সেতুর পাইল বসানো হয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধ বিবেচনায় ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।
শেখ হাসিনা বলেন, সকল ষড়যন্ত্র-প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে লাখো শুকরিয়াই । আমি বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই- তাঁরা আমার পাশে ছিলেন। তাঁদের সহযোগিতার জন্যই আজ পদ্মা সেতু মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে ওই অঞ্চলে দেশি-দেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে এবং দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। পদ্মা সেতু এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগের একটা বড় লিংক। তাই আঞ্চলিক বাণিজ্যে এই সেতুর ভূমিকা অপরিসীম। তাছাড়া পদ্মার দু’পারে পর্যটন শিল্পেরও ব্যাপক প্রসার ঘটবে।’
পরিবেশ রক্ষার জন্য পুনর্বাসিত এলাকাকে ‘পদ্মা সেতু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘বহুমুখী এই সেতুর ওপরের ডেক দিয়ে যানবাহন এবং নিচের ডেক দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন। সেতু চালু হওয়ার পর সড়ক ও রেলপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে। এর ফলে এ অঞ্চলের মানুষের একদিকে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে, অন্যদিকে অর্থনীতি হবে বেগবান। আশা করা হচ্ছে, এ সেতু জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ১ দশমিক দুই-তিন শতাংশ হারে অবদান রাখবে এবং প্রতি বছর দশমিক আট-চার শতাংশ হারে দারিদ্র্য নিরসন হবে।’