স্টাফরিপোর্টারঃ
বন্যা দুর্গতদের পাশে অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরীর পারিবার এর পক্ষ হতে বন্যার্ত মানুষকে খাবার এর জন্য উনার বাড়িতে গত ২০ জুন হতে কুলাউড়া ইসলাম ডেকোরেটার্স এর মাধ্যমে রান্না করে বাড়ীতে বন্যার্ত মানুষকে সাদা ভাত মোরগের গোস্তের তরকারি এবং ডাল দিয়ে খাওয়াচ্ছেন। রাস্তায় পানি থাকায় অনেক বয়স্ক লোক , শিশু এবং অসুস্হ মানুষ হাজার ইচ্ছা থাকার পরেও অনেকে বাড়িতে গিয়ে খেতে পারছে না । সেদিক বিবেচনা করে কুলাউডা উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়ের হাসিমপুর,ভাগমতপুর,তিলকপুর, গুপ্তগ্রাম এবং ছকাপন গ্রামের যাহারা ডঃ এর বাড়িতে গিয়ে খেতে পারছে না সেই সব মানুষ গুলোকে নৌকা দিয়ে বাড়িতে বাড়িতে সাদা ভাত মোরগের তরকারি এবং ডাল দেওয়া হচ্ছে । এই কর্মসূচি চলবে বন্যা না কমা পর্যন্ত এবং মানুষ যতোদিন থাকবে আশ্রয় কেন্দ্রে ।
অন্যদিকে কুলাউডা উপজেলার কুলাউডা পৌরসভার বন্যার্ত মানুষের কথা বিবেচনা করে ডঃ এর পরিবারের পক্ষ হতে রাবেয়া আর্দশ স্কুল আশ্রয় কেন্দ্র প্রত্যেক দিন ১ বার শুধু দুপুরে সাদা ভাত মোরগের গোস্ত এবং ডাল দিয়ে যাচ্ছেন।
ডঃ সাইফুল চৌধুরী বলেন
যেহেতু আমরা ভাই বোন কেউই বাড়িতে নাই এবং আমাদের বাবা – মা ও বেঁচে নেই তাই আমাদের এই কর্মসূচি আমাদের বাড়ির যে দেখা শুনা করে সেই (আবুল) করছে । অপর দিকে কুলাউডা উপজেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন ও আমাদের নিকট পাশের ইউনিয়ন ভূকশিমইল ও বন্যার্ত মানুষের সাহায্য করার ইচ্ঁছা আছে কিন্তু লোকের অভাব ।
আমার বাবা জীবিত থাকতে আমরা দেখেছি সব প্রাকৃতিক বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে । বন্যার সময় আব্বা সব সময় মানুষকে রিলিফ না দিয়ে রান্না করে ভাত খাওয়াতেন আব্বা বলতেন ঐসব মানুষ গুলোকে রিলিফ দিলে তাহারা রান্না করবে কিভাবে ?
মহান আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করি এই সব সদকার বিনিময়ে মহান আল্লাহ আমার বাবা – মাকে জান্নাত দান করেবন।আমিন আর আমাদের আওলাদগুলো ও যেন যে কোন বিপদের মানুষের পাশে দাডায় এবং আমাদের জন্য যেন নেক আওলাদ হিসাবে থাকে। আমিন।
উল্লেখ্য
ধারাবাহিক ভাবে খাবার বিতরণ করছেন
বন্যা কবলিত মানুষের পাশে অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরী ও উনার পরিবার পক্ষে
বহিঃবিশ্ব জাতীয় ফোরাম কুলাউড়া উপজেলা শাখার বিপ্লবী সভাপতি এবং সাবেক উপজেলা বিএনপির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক,কুলাউড়ার কৃতি সন্তান,মেহনতি মানুষের আপনজন,অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরী।