তাইওয়ানের জলসীমায় বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিক্রিয়ায় এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, তাইওয়ানের আশেপাশের ছয়টি এলাকায় লাইভ ফায়ার মহড়া বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে শুরু হয়েছে এবং রোববার পর্যন্ত এই মহড়া চলবে।
চীনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল শি ই এক বিবৃতিতে বলেছেন, মূল ভূখণ্ডের একাধিক স্থান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলোতে প্রচলিত ওয়ারহেড ছিল এবং এর সব কয়টি তাদের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হেনেছে। এই মহড়ার লক্ষ্য ছিল অস্ত্রের নির্ভুলতা এবং একটি এলাকায় শত্রুর প্রবেশ বা নিয়ন্ত্রণ ঠেকানোর ক্ষমতা পরীক্ষা করা।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এগুলো ডংফেং শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছে। স্থানীয় সময় ১টা ৫৬ মিনিটের দিকে তাইওয়ানের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে জলসীমায় এগুলি নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এই মহড়া ‘আঞ্চলিক শান্তিকে নষ্ট করার অযৌক্তিক পদক্ষেপ’ বলেও নিন্দা জানিয়েছে তাইওয়ান।
চীনের প্রতিবাদ সত্ত্বেও মঙ্গলবার তাইওয়ান সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র নয়, বরং নিজেদের বিচ্ছিন্ন অঞ্চল বলে দাবি করে আসছে চীন। তাই পেলোসির তাইওয়ান সফরকে যুদ্ধের প্ররোচনা বলে অভিযোগ করছে বেইজিং। পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল চীনের ২৭টি যুদ্ধবিমান।