চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৩ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দেশটি সফর করবেন তিনি।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর চূড়ান্ত। এখনও তারিখ চূড়ান্ত না হলেও ২৩ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সফরটি হতে যাচ্ছে। চূড়ান্ত তারিখ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে উভয়পক্ষ কাজ করছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সফরটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে গত সপ্তাহ থেকে ঢাকা-টোকিওর কূটনীতিকরা কাজ শুরু করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাপান যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়েও আলোচনা করবেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে টোকিও সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারপ্রধানের সফরে দু’দেশ বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি করতে চাইবে। সফরে বাংলাদেশ আরও জাপানি বিনিয়োগ চাইবে। অন্যদিকে ইন্দো-প্যাসিফিক রূপকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে পাশে চাইবে বাংলাদেশ। তবে ঢাকা ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে অর্থনৈতিক বা উন্নয়ন উদ্যোগের বাইরে যেতে চাইবে না।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে জাপান সফর করেছিলেন শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১৪ সালে জাপান সফর করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি গত ৭ জুলাই বলেন, চলতি বছর দুই দেশের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ এই বছর জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বছরের শেষ ভাগে টোকিওতে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত জাপান। ওই সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উচ্চস্তরে উন্নীত হবে এবং কৌশলগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হবে।