জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পরপরই আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা তাদের পছন্দের প্রতীকের পরিচয় দিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। আজ বুধবার সকাল রাত রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার প্রচারণা চালিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিরা।
বুধবার দিনভর আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার তাঁর নৌকা প্রতীকে প্রচারণা করেছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকমল হোসেন জানান, স্বাধীনতা এবং উল্লয়ন প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে প্রচার চালিয়েছি। ইনশাআল্লাহ বর্তমান সরকারের উল্লয়ন কাজ এগিয়ে তিনি নৌকা কে সম্মানিত ভোটাররা বিজয়ী করবেন।
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারে নেমেছি। গতকাল উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার আমার নির্বাচনী প্রতীক মোটরসাইকেলে ভোট প্রার্থনা করেছি। অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে এবারও জয়ী হব ইনশাআল্লাহ।
এদিকে স্বতন্ত্র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তাদীর আহমদ মুক্ত তাঁর আনারস প্রতীকের পরিচয় তুলে ধরে প্রচারে অংশ নেন জগন্নাথপুরের আশারকান্দি ইউনিয়নে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তাদীক আহমদ মুক্তা জানান প্রতীক বরাদ্দের পরপরই মাঠে প্রচারে আছি। এবার ব্যাপক সারা পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ একটি উন্নত সমৃদ্ধ উপজেলা গঠনের লক্ষেই সম্মানিত ভোটাররা আনারস প্রতীক কে বিজয়ী করবেন।
অপর দিকে জমিয়তে উলামাদে ইসলামের দলীয় প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম (খেজুর গাছ) ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী (ঘোড়া) নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছি। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীও জোরেসুরে প্রচারণার অংশ নিয়েছেন।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার শুকুর মাহমুদ বলেন, ১৮ অক্টোবর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া পরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু হয়েছে। আগামী ২ নভেম্বর ইজিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।