দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিল ভারতের। সুযোগ ছিল শেষটি জিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার হাত থেকে বাঁচার। কিন্তু সেটা আর হলো কই? তীরে গিয়েও ডুবেছে তরী। তৃতীয় ওয়ানডেতে ভারত হার মেনেছে ৪ রানে। এর মধ্য দিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সফরকারীরা। ২০০৬ সালের পর এই প্রথম প্রোটিয়াদের কাছে ধবলধোলাই হলো ভারত।
রোববার কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাট করে ৪৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রান করে। জবাবে ৪৯.২ ওভারে ২৮৩ রানে অলআউট হয় ভারত। করোনার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এসে টেস্ট সিরিজ হারার পর ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে সফর শেষ করলো কোহলি-রাহুলরা।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া কুইন্টন ডি কক এই ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পান। ১৩০ বলে ১২টি চার ও ২ ছক্কায় ১২৪ রান করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্যাটসম্যানদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন ডি কক। ভারতের বিপক্ষে এ নিয়ে ৬টি সেঞ্চুরি হাঁকালেন উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান।
হাফসেঞ্চুরির দেখা পান রাসি ফন ডের ডুসেন। ৫৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রান করেন তিনি। ৩০টি রান আসে ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে। ২০টি রান করেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। তাতে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।
বল হাতে ভারতের প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন দীপক চাহার ও জাসপ্রিত বুমরাহ।
রান তাড়া করতে নেমে শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি ও সুর্যকুমার যাদবের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল ভারত। কিন্তু সেট হয়ে টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে বিপাকে ফেলে ভারতকে। ভারতের যখন সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে তখন ৪২.১ ওভারে তাদের রান ছিল ২২৩। জিততে তখনও ৭.৫ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬৫ রান। সেখান থেকে ম্যাচটি জমিয়ে তোলেন দীপক চাহার ও জসপ্রীত বুমরাহ। অষ্টম উইকেটে তারা দুজন ৩১ বলে ৫৫ রান তুলে জয়কে হাতের নাগালে নিয়ে আসেন।
কিন্তু ৪৭.১ ওভারের মাথায় জয় থেকে ১০ রান দূরে থাকতে আউট হন চাহার। ৩৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রানে ঝড়ো ইনিংস খেলে যান তিনি। পরের ওভারে ফেলুকাওয়ের বলে বুমরাহ ১২ রান করে আউট হলে খাদের কিনারায় চলে যায় ভারত।
শেষ ওভারে জিততে ভারতের দরকার ছিল ৬ রান। হাতে ১ উইকেট। ক্রিজে তখন যুজবেন্দ্র চাহাল ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। কিন্তু ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের দ্বিতীয় বলে যুজবেন্দ্র চাহাল আউট হয়ে যান। আর ৪ রানে হার মানে ভারত। ১৬ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হয় হোয়াইটওয়াশ।
ব্যাট হাতে কোহলি সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন। ৬১ রান করেন ধাওয়ান। বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার লুঙ্গি এনগিদি ও আন্দিলে ফেলুকায়ে ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন প্রিটোরিয়াস।
ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হন কুইন্টন ডি কক।