তারুণ্যের অবক্ষয়, আমাদের করণীয়

প্রকাশিত: ৯:৩৪ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২৩ | আপডেট: ৯:৩৫:অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২৩


 

 



 

ডিজিটাল দুনিয়ায় অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে আসক্ত হয়ে তরুণ সমাজ দিনে দিনে নানা অপকর্মে জড়িয়ে নিজেকে বিনাশ করছে,পরিবার ও সমাজকে বিষিয়ে তুলছে। নিজের অজান্তেই চরম অবহেলা হেয়ালীপনা আর খেয়ালীপনায় ধ্বংস করছে তাদের ঝকঝকে চকচকে উজ্জ্বল সোনালি সুন্দর ভবিষ্যৎ। তারুণ্যের জয়জয়কারে অভিভূত এবং আনন্দিত হবার বদৌলে সম্মানিত অভিভাবক তথা সুধীজন গুণীজন সকলেই আজ আতংকিত এবং উদ্বিগ্ন!
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আপন সন্তান নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ সম্মানিত অভিভাবকদের করণীয় কি, পরিবার বা সমাজের দ্বায় কতটুকু আসুন সেবিষয়ে একটু আলোকপাত করা যাক্।

✔ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষায় আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি। বিশেষত পারিবারিক শিক্ষা, মুসলিমদের জন্য মক্তব শিক্ষা এবং অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় নৈতিকতা, মূল্যবোধের চর্চা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ শেখাতে হবে সর্বাগ্রে।
✔যেভাবেই হউক মোবাইল আসক্তি কমাতে হবে ছেলেমেয়েদের। বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল থেকে আপনার সন্তানকে বিরত রাখতেই হবে। অ্যান্ড্রয়েড নেশার মতো টানে। মন মস্তিস্কে নানা প্রলোভন তৈরি করে। প্রজন্মকে বই বিমুখ করে। কাজেই “ইন্টারের আগে অ্যান্ড্রয়েড নয়”।ছেলেমেয়েদেরকে এর ভয়ানকতা ক্ষতি সম্পর্কে বুঝাতে হবে। “অ্যান্ড্রয়েড এ যুগের বিপদ”এ বোধ তাদের মধ্যে জাগাতেই হবে।
✔ প্রত্যেক মা বাবার উচিত সন্তানকে প্রতিদিন কিছু না কিছু সময় সংস্পর্শ দেয়া।তাদেরকে গল্প ও খেলাধূলায় মাতিয়ে রাখা। তাদের নিয়ে আনন্দ ভ্রমণ করা।ঐতিহাসিক স্থান দর্শন,জাদুঘর, চিড়িয়াখানা এ সমস্ত সৃষ্টিকর্ম ও দৃষ্টিনন্দন সৃষ্টি মানুষের মন উদার করে,প্রফুল্লতা বাড়ায়।
✔সমাজের সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে। যার সন্তান তার দ্বায় আমার কি, এমন নীতি পরিহার করতে হবে।পথঘাটে,হাটবাজারে, স্কুল মাদ্রাসায় এবং বিভিন্ন কোচিং প্রাইভেটে ছেলেমেয়েদের দৃষ্টিকটূ চলাফেরা বা অসংগতিপুর্ণ আচরণ পরিলক্ষিত হলে নিজে না পারি অন্তত অভিভাবকদের নোট দেই,জানান দেই এবং সতর্ক করি। পারস্পরিক শাসনের অধিকার নিয়ে চলতে হবে আমাদের।

আজকের শিশুই আগামির কর্ণধার। আমাদের প্রজন্মকে সুনাগরিক করে গড়ে তুলতে না পারলে ভোগান্তি আমাদেরই ঘিরে ধরবে অদূরে…..