এফ এম খন্দকার মায়া, চুনারুঘাট :
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় জামাতা সেলিম মিয়া (২৮) হাতে শুশুড় নুরে আলম (৫০)খুন ও সকালে শুশুড় বাড়িতে জোসনা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ।
রোববার (৯জুলাই) সন্ধ্যা ৮টায় ৫নং শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি আশ্রায়নে জামাতা সেলিম মিয়া (২৮) হাতে শশুড় নুরে আলম (৫০) খুন ও সকালে ৯নং রানীগাঁও ইউনিয়নে কমলপুর গ্রামে শুশুড় বাড়ি গৃহবধূ জোসনা আক্তার (২৬)হত্যার অভিযোগ উটেছে।
আজ সন্ধ্যায় গৃহবধূর জোসনার পরিবারের অভিযোগে নিজ এলাকা থেকে শাশুড়ী রাবিয়া (৫০) কে আটক করেছে থানা পুলিশ।
আটক রাবিয়া (৫০) রানীগাঁও ইউনিয়নের কমলপুর এলাকার ঠান্ডা মিয়ার স্ত্রী।
রবিবার দুপুরে উপজেলা ৯নং রানীগাঁও ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয় ।তখন জোসনা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান তাঁর শ্বশুরবাড়ি লোকজন।সন্দেহ হওয়ায় নিহত গৃহবধূর পিতা আমীর আলী, ভাই সুন্দর আলী ও খালা আফিয়া খাতুনসহ পরিবারের দাবি, যৌতুকের দাবীতে হত্যার পর গলায় রশি দিয়ে বেঁধে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন তার স্বামী শাশুড়ী সহ ঘটনার সাথে জড়িতরা।
ঘটনার পর থেকে স্বামী আল-আমীন পলাতক রয়েছেন। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের কবিলাশপুর এলাকার আমির আলীর মেয়ে জোসনার সঙ্গে একই উপজেলার রানিগাও ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার পুত্র রাজমেস্ত্রী আল-আমীনের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে -আলিফ নামের ১ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। নিহতর মা’ দুপরাজি বেগম জানান, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, জুসনাকে তাঁর স্বামী আল-আমীন প্রায়ই যৌতুকের জন্য মারধর করতেন। রবিবার সকালে লোক মারফত জোসনার আত্মহত্যার খবর তাঁরা জানতে পারেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে এলোমেলো অবস্থায় স্বামীর ঘরের মেঝেতে মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
এ তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শন তদন্ত গোলাম মোস্তফা জানান,এঘটনায় নিহতর মা বাদি হয়ে চুনারুঘাট থানায় স্বামী ও শাশুড়ীর নাম উল্লেখ করে যৌতুকের জন্য হত্যার মামলা দায়ের করেন। তিনি আরো বলেন পলাতক আসামি স্বামী আল-আমীনকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
অপর দিকে ৫নং শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি আশ্রায়নের বসবাসরত জামাতা সেলিম মিয়া (২৮) পারিবারিক ক্ষোভের জেরে শুশুর নুরে আলম কে ছুরি দ্বারা আঘাত করে হত্যা করে বলে জানা যায়। বিষয়টি তদন্ত করতে ওসি তদন্ত গোলাম মোস্তফা সেখানে উপস্থিত আছেন বলে নিশ্চিত করেন আমার হবিগঞ্জ প্রতিনিধি কে।