আহমেদ সুহেল : যুক্তরাজ্যে নানা ধরনের ফলমুল পাওয়া গেলেও প্রবাসী বাঙালীদের কাছে বাংলাদেশী ফলমুলের চাহিদাও বেশ ব্যাপক। লন্ডন বার্মিংহাম,ওল্ডহাম,লুটনসহ বাঙালী অধ্যুষিত এলাকাগুলো দেশীয় গ্রোসারী সোপগুলোতে বলতে গেলে প্রায় বছরব্যাপিই বাংলাদেশী শাক-সব্জীর সঙ্গে অনেক ফলমুলও পাওয়া যায়। এরমধ্যে মৌসুমী ফল হওয়ায় বছরব্যাপি না পাওয়ায় কাঠাল এবং দেশীয় আমের চাহিদাই সবচেয়ে বেশী। গ্রাহকদের এই চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে বার্মিংহামের বাঙালী অধ্যুষিত দেশীয় গ্রোসারীগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আম ও কাঠাল পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশ থেকে ফ্রেশ আম কাঠাল আনছেন আর অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বেশী বেশী কাঠাল বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন লজেলসের সুয়েব ষ্টোরের স্বত্বাধীকারী সুয়েব মিয়া। তিনি জানান তার আমা কাঠালগুলো সুলভ মুল্য আর সুস্বাদু হওয়ায় দুর দুরান্ত থেকে বাঙালীরা আম কাঠাল কিনতে তার দোকানে ভীড় জমাচ্ছেন। বার্মিংহামের লজেলস আষ্টন আর স্মলহীথের বিভিন্ন দেশীয় গ্রোসারীগুলোও ঘুরে দেখা গেছে তারাও সাজিয়ে রেখেছেন সারি সারি মৌসুমী আম আর কাঠালের বাহার। আর বিক্রিও হচ্ছে দেদারসে। চাহিদার কারণে অনেক পাকিস্থানী ইন্ডিয়ান দোকানেও আম কাঠাল বিক্রি হচ্ছে। প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের বাঙালীরা আম – কাঠালের সাথে তেমন পরিচিত না হলেও পুর্বপুরুষদের জন্মভুমির ফল-মুলের স্বাদ পেতে কিছুটা আগ্রহীও হচ্ছে। অনেকেই বাবা-মার সঙ্গে আম কাঠাল দেখতে সোপগুলোতে যাচ্ছে। তবে দেশ থেকে এসে প্রবাসে বসতি গড়া প্রবাসীরাই মুলতঃ আম কাঠালের গ্রাহক। যুক্তরাজ্যে আম-কাঠালের কি পরিমান চাহিদা তা প্রতীয়মান হয় এবছর বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু দেশীয় গ্রোসারীতে শুধুমাত্র আম-কাঠালের অফার দিয়েই গ্রাহকদের লম্বা লাইন অবলোকন করে। আর প্রবাসে দেশীয় শাক-সব্জীর পাশাপাশি দেশীয় ফলমুলের এই চাহিদা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় আরেকটি সংযোগ হলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা ফরমালিনযুক্ত ফল-মুল রপ্তানী করে এই আশানিয়াকে ব্যাহত করতে পারে ; তাই এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারী প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করছেন।