কুলাউড়া ভুকশিমইলে গভীর রাতে পোল্ট্রির দোকানে অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত: ১০:০৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২৩ | আপডেট: ১০:০৮:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২৩

মোঃ ইব্রাহীম আলী, কুলাউড়া :

 

কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নে একটি পোল্ট্রি খামারের দোকানে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই ব্যবসায়ীর দোকানে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ। গত ১ আগস্ট ইউনিয়নের মনসুরগঞ্জ বাজারে রাতের আধারে দুর্বত্তরা উত্তর সাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত জোয়াদ আলীর ছেলে মোঃ মোতাহির আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। এতে ওই ব্যবসায়ীর দোকানের ৯০টি মোরগ পুড়ে যায়। এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী মোতাহির আলী।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর সাদিপুর গ্রামের মৃত সোহাগ মিয়ার স্ত্রী শামসুনাহার এর স্বামীর ভোগ দখলীয় জায়গায় যৌথভাবে পোল্ট্রি মোরগের ব্যবসা করে আসছেন মোতাহির আলী। প্রতিদিনের মতো গত ৩১ আগস্ট রাত ১১টায় তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। পরবর্তীতে ১ আগস্ট মধ্যরাতে কে বা কারা মোতাহিরের মোরগের দোকানটি পাশের একটি খালে ফেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন লাগার খবর শুনে স্থানীয়রা ব্যবসায়ী মোতাহিরকে জানান। পরে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখেন তার দোকানে থাকা ৯০টি মোরগ, দোকান ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মোতাহিরের সন্দেহ একই এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুস ছত্তারের ছেলে আব্দুল করিম (৫০), সনোহোর মিয়া (৫৫), এবং ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান ফজলু তাদের লোকজন দিয়ে দোকানটি পাশের খালে ফেলে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন। মোতাহির অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, তার দোকানের পাশে আব্দুল করিমের দোকান আছে। দোকানে আগুন লাগার পর আব্দুল করিমের দোকানের গ্যাস সিলিন্ডার দোকানের পাশ থেকে সরানো হয়েছে। এর আগ থেকেই উল্লেখিত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে শামসুননাহারের দোকান ভিটা দখল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে মোতাহিরকে দোকান সরানো হুমকি দিয়েছিল। দোকানের পাশে বসবাস করা সনোহার মিয়াকে আগুন লাগার খবর জানালে তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি। পরে মোতাহির বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গকে আগুন লাগার বিষয়টি অবহিত করেন।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, পোল্ট্রি দোকানটি মনসুরগঞ্জ বাজারের ভেতরে একটি খালে পড়ে আছে। তখন দেখা হয় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীর ভাই তোয়াহিদ আলীর সাথে। তিনি ঘটনার দিনের বর্ণনা দেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান ফজলু বলেন, মনসুরগঞ্জ বাজারে সরকারি খাস জমি থেকে জরাজীর্ণ দোকানটি সরানোর জন্য তাদেরকে অনেকবার বলা হয়েছিল। কারণ বাজারের মানুষের সুবিধার্থে একটি ওয়াশ ব্লক তৈরির করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা দোকানটি না সরানোতে ওয়াশ ব্লকটি বাজারের অন্য একটি জায়গায় তৈরি করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে হয়তো বা কোন দুষ্কৃতিকারী দোকানে আগুন লাগিয়েছে। এখন বিশেষ মহলের ইন্ধনে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে এই ঘটনার সাথে জড়ানো হচ্ছে।

ভূকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির বলেন, আগুন লাগার বিষয়টি শুনেছি। এমনকি আমার পরিষদের একজন সদস্যকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ হয়েছে সেটাও জেনেছি। উভয়পক্ষের সাথে বসে বিষয়টির সুন্দর একটি সমাধান করার উদ্যোগ নেয়া হবে এবং তদন্তক্রমে দোকানে আগুন লাগানোর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।