জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেতর প্রবেশ করতেই দেখা মেলে বদলে যাওয়ার চিত্র। নীল-সবুজ-কমলা রঙের বাহারি আসনে সেজেছে সাগরিকা পাড়ের স্টেডিয়ামটির গ্যালারি। সকাল থেকে সূর্যের আলো থাকলেও ছিল না প্রখরতা। সেই মৃদু আলোতেই গ্যালারি রঙিন আসনগুলো যেন চকচক করছিল।
আজ ২৮ জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) খেলা হবে এই স্টেডিয়ামে। আসন বসানোর কাজ প্রায় শেষ হলেও এখনো টুকটাক কাজ চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) স্টেডিয়ামে এই চিত্র দেখা যায়।
মাস দুয়েক আগে এই গ্যালারির দিকে তাকানো ছিল দায়। যেন প্লাস্টিকের ধ্বংসস্তূপ। যেসব আসন ঠিক ছিল সেগুলোও রং হারিয়ে বিবর্ণ আকার ধারণ করে। আর এখন তার উলটো চিত্র। যেদিকেই চোখ যায়, দেখা মিলবে বাহারি রঙের আসনগুলোর।
স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ করার কথা ছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। দীর্ঘদিন অব্যবস্থাপনায় পড়ে থাকার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই কাজ করে।
ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারি খান গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন স্টেডিয়াম সংস্কারের কথা। জানিয়েছেন এখানে বসেছে ১২ হাজার নতুন আসন। ‘১৮ হাজারের বেশি আসন এখন স্টেডিয়ামে আছে। পুরোনো ভালো কিছু আসন রয়ে গেছে। নতুন করে ১২ হাজার আসনের বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।’
এর প্রায় ১১ বছর আগে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সংস্কার হয়েছিল স্টেডিয়ামটি। সেবার বিদেশ থেকে আসন এনে বসানো হলেও এবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে আসনগুলো আনা হয়েছে বলে জানান ফজলে বারী। তার আশা বছর দশেক আসনগুলো টিকবে।
ফজলে বারী বলেন, ‘আগের চেয়ার তো আনা হয়েছিল দেশের বাইরে থেকে। সেগুলো অনেক বছরই টিকে ছিল। এবার দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে চেয়ার নিয়েছিল। এক বছরের ওয়ারেন্টি আছে। কতদিন টিকবে বলা তো মুশকিল, আশা করছি অন্তত বছর দশেক টিকে থাকবে।’
নতুন রূপে সেজেছে স্টেডিয়াম। কিন্তু যাদের জন্য সেজেছে তারা সহজেই সুযোগ পাচ্ছেন না এখানে বসার। করোনার সংক্রমণ বাড়াতে বিসিবি দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ রেখেছে বিপিএলে। যতই সাজুক না কেন দর্শক ছাড়া কি পূর্ণতা পাবে এই স্টেডিয়াম?