সুনামগঞ্জ ব্যুারো প্রধান :
সুনামগঞ্জে অদালত চত্বরে প্রতিপক্ষকে হত্যা মামলায় মো. ফয়েজ আহমদ (৩২) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্প এবং অপর চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং চারজনের প্রত্যেকে ২৫ হাজার করে টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে াারো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
বুধবার (১৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি ফয়েজ আহমদ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাল গ্রামের মৃত মহিবুর রহমান ওরফে লাল মিয়ার ছেলে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, একই গ্রামের আফরোশ মিয়ার ছেলে মো. সেবুল মিয়া ওরফে সাজ্জাদ, তার ভাই মো. সাজিদ মিয়া, ইসমাইল হোসেন বাদশার ছেলে মো. এহসানুল করিম শাহান, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি ফয়েজ আহমদের ভাই ইসরাইল আলী মারজান। এরমধ্যে পলাতক রয়েছে মো. সাজিদ মিয়া, মো. এহসানুল করিম শাহান ও ইসরাইল আলী মারজান।
সুনামগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর ড.খায়রুল কবির রুমেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাল গ্রামের মিজানুর রহমান খোকন এর সঙ্গে একই গ্রামের ফয়েজদের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলছিল। এনিয়ে ২০২২ সালের ২১ জুলাই সাড়ে ১২টার দিকে মিজানুর রহমান সুনামগঞ্জ আদালতে আসেন। এসময় মিজানুর রহমান আইনজীবী সহকারি সমিতির সামনে আসলে প্রতিপক্ষ ফয়েজ, সাজিদ, শাহান ও সেবুল উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। বিষয়টি দেখে উপস্থিত জনতা, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা এগিয়ে এসে ফয়েজ, সাজিদ ও সেবুলকে ধরে আইনজীবী সমিতিতে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে ওই তিনজনকে চাকুসহ পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ওই দিনই নিহতের বাবা ফটিক মিয়া বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় ফয়েজ আহমদ,মো. সেবুল মিয়া ওরফে সাজ্জাদ, মো. সাজিদ মিয়া, মো. এহসানুল করিম শাহান, ইসরাইল আলী মারজানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক আসামি ফয়েজ আহমদকে মৃত্যুদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং আসামি মো. সেবুল মিয়া ওরফে সাজ্জাদ, মো. সাজিদ মিয়া, মো. এহসানুল করিম শাহান, ইসরাইল আলী মারজানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন বিচারক। এরমধ্যে পলাতক আসামি মো. সাজিদ মিয়া, মো. এহসানুল করিম শাহান ও ইসরাইল আলী মারজান পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।