সিলেটে চেয়ারম্যান নুনু’র বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের আরেকটি মামলা

প্রকাশিত: ১:২৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩ | আপডেট: ১:২৪:পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩

 

সিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এসএম নুনু মিয়া ও তার পিএস দবির মিয়ার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের আরেকটি মামলা করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন যুবলীগ নেতা রাজন আহমদ অপু (৩৫)। তিনি পৌর শহরের মুফতিরগাঁও গ্রামের মৃত তজম্মুল আলীর ছেলে।

 

ওইদিন দুপুরে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক মো. আলমগীর হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে তদেন্তর জন্য সিলেটের গোয়েন্দা (সিআইডি) পুলিশকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন।

 

মামলায় দুই আসামির মধ্যে প্রধান আসামি রাখা হয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যানের পিএস দবির মিয়াকে (৩৫)। আর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়াকে ২য় আসামি রাখা হয়েছে, (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং-৩৩৮/২০২৩)।

 

অভিযুক্ত দবির মিয়া পৗর শহরের মিয়াজানেরগাঁও গ্রামের মৃত সাজিদ আলীর ছেলে ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং দৌলতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতিও।

 

এর আগে গত মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) সরকারি বরাদ্দের ‘ ওয়াশব্লক’ (বাথরুমসহ গভীর নলকূপ) ও কালভাটর্’ দেবার নামে ৪লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে সিলেটের জ্যুডিসিয়াল মেজিষ্ট্রেট বিশ্বনাথ ৩নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন জামাল আহমদ নামের এক ভোক্তভোগী।

 

তিনি উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি এবং ওই ইউনিয়নের তেঘরি গ্রামের মৃত মখন মিয়ার ছেলে। ওই মামলায় দবির মিয়ার মা সফুল বিবি ও সুহেল শিকদার নামের আরও এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, (সিআর মামলা নং ৩১৬/২০২৩)।

মামলাটি সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান পিপিএম’র নিকট তদন্তাধিন রয়েছে।

 

রাজন আহমদ অপু তার মামলায় উল্লেখ করেছেন, যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সুবাদে উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া ও তার পিএস দবির মিয়ার সঙ্গে পূর্ব পরিচয় রয়েছে। এজন্য তার নিজ গ্রাম মুফতিরগাঁওয়ের রাস্তার উন্নয়ন ও অসহায় আরও ৭টি পরিবারের জন্য গভীর নলকূপ বরাদ্দ আনতে যোগাযোগ করেন। এতে বরাদ্দ দেওয়া যাবে মর্মে চেয়ারম্যান নুনু মিয়া ও দবির মিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেন।

 

চুক্তি মতে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ৭টি গভীর নলকূপ বাবদ দবির মিয়ার কাছে নগদ এক লাখ ৫৩হাজার টাকা দেন। এরপর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাস্তার উন্নয়ন কাজের জন্য নগদ আরও ২লাখ টাকা প্রদান করেন। এনিয়ে দবির মিয়ার নিকট তিনি সর্বমটো ৩লাখ ৫৩ হাজার টাকা দেন।

 

কিন্তু টাকা ও বরাদ্দ না পেয়ে সর্বশেষ চলতি ২০২৩ সালের ৫আগষ্ট বিকেলে সাক্ষীসহ দবির মিয়ার বাড়িতে গেলে উল্টো দবির তাদেরকে হুমকি দেন।

 

তবে, উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়ার দাবি, তার মান-সম্মান নস্ট করতেই একটি সিন্টিকেট চক্র এসব কর্মকান্ড করেছে। তিনি এ-প্রতিবেদককে বলেন, রাজন আহমদ অপু দবিরকে কিজন্যে টাকা দিয়েছেন সেটা তার জানা নয়। আর রাজন আহমদ অপু একটার বদলে ৭টি টিবওয়েল কেন নিতে চান সেটাও তিনি তদন্ত করে দেখবেন।

 

মামলার সত্যতা জানিয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুন্দর আলী তালুকদার মিন্টু এ প্রতিবেদককে বলেন, আদালতের বিচারক মো. আলমগীর হোসেন ওই মামলাটি আমলে নিয়ে তদেন্তর জন্য সিলেটের গোয়েন্দা (সিআইডি) পুলিশকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন।