সিলেট প্রতিনিধি
এবার ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
খালা শাশুড়ির দায়ের করা ওই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে কাউন্সিলর ফজর আলীর আপন শ্যাককেও।
প্রায় ১৫দিন আগে এই মামলাটি সিলেট আদালতে দায়ের করা হলেও সম্প্রতি থানা পুলিশ তদন্তে নামলে গত ২/৩দিন ধরে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
মুঠোফোন রিসিভ না করায় মামলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিশ্বনাথ পৌরসভার পূর্ব জানাইয়ায় বাদীর নিজ বাসায় গেলে তাকে না পাওয়ায় ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জনাযায়নি।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্য প্রবাসী আফতেরা বিবি (৫১) নামের তারই আপন এক খালা শাশুড়ি সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন।
শুনানী শেষে ওই আদালতের বিচারক আগামি ১১ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাতে বিশ্বনাথ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন, (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং-৩২৮/২০২৩ইং)।
মামলার বাদী প্রবাসী আফতেরা বিবি বিশ্বনাথ পৌরসভার শাহজিরগাঁও গ্রামের আমরোজ আলীর স্ত্রী।
মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামির মধ্যে প্রধান আসামি করা হয়েছে কাউন্সিলর ফজর আলীর শ্যালক মাছুম আহমদকে (৩৮)। সে ছাতক উপজেলার বুরাইয়া (বুরকি হাটি) গ্রামের তফজ্জুল হোসেনের ছেলে।
মামলার ২য় আসামি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাইন্সলর ফজর আলী মোল্লারগাঁওয়ের ময়না মিয়ার ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানাগেছে, শ্যালক মাছুম আহমদ ও দুলাভাই ফজর আলী একে অপরের যোগসাজসে খালা শাশুড়ি নিকট থেকে ২টি প্লট ও ১টি তিন তলা বিশিষ্ট দালান ক্রয় করতে ৩ কোটি টাকা নেন।
কিন্তু খালা শাশুড়ি আফতেরা বিবির নামে জায়গা ক্রয় না করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিশ্বনাথ সাবরেজিষ্ট্রারের স্বাক্ষর জাল করে অবিকল সাফ কাবালা তিনটি দলিল সম্পাদনের রশিদ দেন। পরবর্তিতে তিনি সাবরেজিষ্ট্রারী অফিসে তল্লাশী দিয়ে জানতে পারেন দলিলের রশি তিনটি ভূয়া।
তাই তিনি ন্যায় বিচার পেতে জামাই ফজর আলী ও বোনপুত্র মাছুমকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর ফজর আলী বলেন, তার খালা শাশুড়ি ও শ্যালকের মধ্যে বিরোধ ছিলো। দু’পক্ষের ওই বিরোধ নিস্পত্তির জন্যে তিনি সালিশে মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। এতে খালা শাশুড়ির পক্ষে রায় না দেওয়ায় তাকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।