চুনারুঘাটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লক্ষাধিক টাকার ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি চুরি
এফ এম খন্দকার মায়া, চুনারুঘাট :
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি চুরি হয়েছে।চুনারুঘাট থানায় লিখিত অভিযোগের বিশ দিন চলে গেলেও মালামাল উদ্ধার বা চুরি ঘটনায় কাউকে সনাক্তকরণ করার তথ্য পাওয়া যায় নি।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার ৬নং সদর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নরপতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর নরপতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান চুনারুঘাট থানায় বিগত শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর)এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান জানান,বিগত বৃহস্পতিবার (৩১আগস্ট) বিকাল ৪টার পর বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে শিক্ষকগণ নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান।
এবং বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বিপদজনক ভাবেই চুরিটি সংগঠিত হয়েছে।বিদ্যালয়টিতে সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকা সত্বেও চোর উক্ত বিদ্যালয়ের ওয়াফাই সংযোগ লাইন কেটে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়।ঘটনা টি নজরে আসে পরদিন চলমান জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এ একজন শিক্ষক অংশগ্রহনকারী হিসেবে পরবর্তী প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সকাল সাড়ে দশটায় বিদ্যালয়ে আসাতে। এবং বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষের দরজার তালাটি মাটিতে খোলা অবস্থায় দেখতে পাওয়ায়।
তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ের দপ্তর কাম প্রহরী নরপতি গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার আলীর পুত্র ওয়াহেদ আলী কে বিদ্যালয়ে দেখতে না পেয়ে মোবাইলে কল দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে বলা হয়।এবং বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী ওয়াহেদ আলী কে
নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস ও অন্যান্য কক্ষ চেক করে দেখা যায় বিদ্যালয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি যেমন কালার প্রিন্টার, ডিবিআর, সিসি মনিটর, রাউটার নেই এবং ওয়াইফাই সংযোগটিও কেটে যার দেয়ায় অনুমানিক বাজার মূল্য আশি থেকে লক্ষাধিক টাকার যন্ত্রপাতি চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী ওয়াহেদ আলী কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে উক্ত বিষয়ে কিছুই জানেনা বলে জানায়।এবং নিজেঐ রাতে ডিউটিতে অনুপস্থিতিতির তারনে চুরির ঘটনায় ভুলের মাশুল জরিমানা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান,চুরি সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং জানান,ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।এবং আমি বিষয়টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, এসএমসি সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ সদস্যবৃন্দ, বর্তমান ও সাবেক ওয়ার্ড মেম্বারকে অবহিত করি।পরবর্তীতে থানা পুলিশের টিম পরিদর্শন করলেও ঘটনার বিশ দিন চলে গেলেও মালামাল উদ্ধারসহ চোর সংক্রান্ত কোন তথ্য পাইনি।
এ বিষয় চুনারুঘাট থানা (তদন্ত) অফিসার প্রজিত কুমারের সাথে কথা হলে তিনি নবাগত দাবি করে কিছু জানেননা বলে জানান আমার হবিগঞ্জ প্রতিনিধি কে।পরবর্তীতে অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল হক কে একাধিকবার কল দিয়ে না পাওয়ায় ক্ষুদেবার্তা দিলে তিনি কোন সদুত্তর দেন নি।