সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানকে নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগ এনে এবার সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১০ কোটি টাকা মানহানীর মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন এমপি মোকাব্বির খানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আহমেদ কবির আদনান। তার দায়ের করা ‘সাইবার ট্রাইব্যুনাল পিটিশন মামলা নং ১৯৭/২০২৩ইং। মমালায় ৩জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫জনকে।
তিনজনের নাম উল্লেখ করে দায়ের করা ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয়েছে আরও ১৫জনকে। এতে প্রধান আসামি রাখা হয়েছে পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানকে। আর ২য় আসামি করা হয়েছে উপজেলার টেংরা গ্রামের বাসিন্দা ও সিলেট জেলা যুবলীগের শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সিতার মিয়াকে (৪৫) এবং একই গ্রামের বাসিন্দা আলী মিয়া (৪৮) নামের একজনকে ৩য় আসামি করা হয়েছে।
ওইদিন শুনানী শেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল মামলাটি তদন্তের জন্য সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ‘পিবিআই’কে দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী ও আইনজীবী প্যানেলের প্রধান অ্যাডভোকেট জাফর ইকবাল তারেক। তিনি জানান, এমপি মোকাব্বির খানের পক্ষে ১১ সদস্যের আইনজীবী প্যানেলের মাধ্যমে সোমবার সাইবার ট্রাইব্যুনালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ৩জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ১০ থেকে ১৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার টেংরা আলীপাড়া গ্রামের মসজিদে যান বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। এরপর মসজিদে এমপি মোকাব্বির খানের দেওয়া ‘জিএসআইডি-২ প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ নিয়ে তিনি তার নিজ ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। এতে তিনি বলেছেন, উন্নয়নের নামে এখানে হরিলুট করা হয়েছে এবং ওই প্রকল্পের টাকা এমপির পিএস মেরে খেয়েছেন।
মামলার বাদী ও স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খানের পিএস আহমেদ কবির আদনান বলেন, এমপি মহোদয়ের ‘জিএসআইডি-২ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৩ লাখ টাকার একটি উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় হরিলুট হয়েছে বলে এমপি মহোদয়ের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার করেন মেয়র।
অভিযুক্ত পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান বলেন, এমপি মোকাব্বির খান সরকারি টিউবওয়েল বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। উন্নয়নের নামে বেহাল অবস্থার বাস্তবচিত্র জনসম্মুখে তুলে ধরায় যদি এমপি মহোদয়ের মানহানী হয়, তো- কি আর করা!
জনস্বর্থে এরকম অনুসন্ধানী সচিত্র প্রতিবেদন আগামিতেও তুলে ধরা হবে। আর তাতে যদি আরও মামলার আসামি হতে হয় তাতে অসুবিধার কিছু নেই। জনগণ তা অবশ্যই বুঝেন।