কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গন রোধে জগন্নাথপুরে ৯২ কোটি টাকা বরাদ্দে নদীরতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্হাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন রোধে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যাগ গ্রহণ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্হাপন করেন। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে ভিত্তি প্রস্তর স্হাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক আহমেদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সামসুদৌহা,উপ সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী প্রমুখ
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি, রানীগঞ্জ,পাইলগাঁও ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম ও হাট বাজার কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে দীর্ঘদিন ধরে বিলীন হচ্ছে। এলাকাবাসী নদী ভাঙ্গণ থেকে রক্ষায় নদীর তীর সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ইতিমধ্যে নদী ভাঙ্গনে ফেচিরবাজার,রানীগঞ্জ বাজার, শিবগঞ্জ বাজার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৬ সালে তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বর্তমান পরিকল্পনা মন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।পরে স্হানীয় সংসদ সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের প্রচেষ্টায় ৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে অনুমোদন হয়।প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে কুশিয়ারা নদীর ডানতীরে অবস্হিত বাগময়না এলাকার নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ৪৪ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা ও ভাঙাবাড়ি ও ফেচিরবাজার এলাকায় ৯৮০ মিটার দৈর্ঘ্যে ৪৭ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ মিলে ।
জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব খান বলেন, এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন থেকে আশাীকান্দি ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৫ টি গ্রাম রক্ষা পাবে।আমরা দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে সর্বসান্ত হয়ে আসছিলেন।
রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম, কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে রানীগঞ্জ বাজার ও আশপাশ গ্রামের লোকজন নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন ধরে লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রাচীন নৌবন্দর হিসেবে পরিচিত রানীগঞ্জ বাজার রক্ষা পাবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন থেকে জগন্নাথপুর উপজেলা কে রক্ষায় নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের প্রতি আমরা খুশি ও কৃতজ্ঞ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সামসুদৌহা বলেন, কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গনরোধে ইতিমধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করার কাজ চলছে। আগামী বচ্ছরের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।