এফ এম খন্দকার মায়া, চুনারুঘাট :
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় গভীর নলকূপ বিতরণে প্রহসন ভুক্তভোগী উপকার ভোগীগণ। তিন বছরেও বসানো হয়নি ২৬০ নলকূপ।
অনুসন্ধানে জানা যায়,বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও চুনারুঘাট মাধবপুর আসনের সাংসদ এডভোকেট মাহবুব আলী নিয়মিত সফরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন সহ পৌরসভার স্থায়ী বাসিন্দাগণ গভীর অগভীর নানা ধরনের নলকূপ পেতে আবেদন সুপারিশপ্রাপ্ত করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণের বদৌলতে আবেদন করে দিনের পর দিন ঘুরেও পাচ্ছেন না নলকূপ।
ইতিমধ্যে একাধিক ভুক্তভোগীর মৌখিক অভিযোগে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ে একাধিক বার যোগাযোগ করে তথ্য না পেয়ে আমার হবিগঞ্জ পত্রিকা স্টাফ রিপোর্টার তথ্য অধিকার আইনে লিখিত আবেদন করলে নড়েচড়ে বসে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় গেলো তিন বছরেও বসানো হয়নি দুই শত ষাটটি গভীর ও অগভীর নলকূপ।এতে সুপেয় নিরাপদ পানির অভাবে চরম হতাশায় উপজেলার উপকার ভোগী সাধারণ মানুষগণ।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অলিখিত তথ্যে জানায়,২০২১-২২ বরাদ্দে ২৬০ টি গভীর নলকূপের মধ্যে ১০০শ টি গভীর তারা পাম্প,৬০টি অগভীর ৭২০ ফুটের ৬০টি গভীর ও ৪০টি মটরসহ নলকূপ দীর্ঘদিনেও স্থাপন শেষ করা যায়নি।আসন্ন নির্বাচন কে সামনে রেখে জনপ্রতিনিধিদের ঘনিষ্ঠ ও রাজনৈতিক নেতাদের বলয়ে কিছু জোড়তোড়ে স্থাপন করা হলেও বছরের পর বছর বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ উপকার ভোগী সাধারণ জনগণ।এছাড়াও দপ্তর থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধির আষ্টেপৃষ্টে লোকজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎের ঘটনাও ঘটেছে।তাছাড়াও নলকূপ প্রাপ্তদের অনেকেরই ক্ষোভ ও অভিযোগ ৭০০ ফুটের অধিক গভীরের জায়গায় ৪/৫শ ফুট গভীরে স্থাপন করে দিচ্ছে দপ্তর কর্তৃপক্ষ।এছাড়াও ২০২২/২৩ সালে বরাদ্দ আসে ২৬০ টি ও ২০২৩/২৪ সালে আসে আরও ২৬০ টি।যা এখানো অদৃশ্য অবস্থায় আছে।
এ বিষয় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মহিদ আহমদ চৌধুরী জানান,জেলা থেকে এসব টেন্ডার আহবান করা হয়।কেন এসব টেন্ডার হয়নি তিনি তা জানেন না।তবে আগামী ৩ মাসের চলমান কাজ সম্পন্ন করা হবে। তবে যাচাই বাছাই ও স্যানিটিশন কমিটির সদস্য তালিকা দিলেই কাজ শুরু করা হবে।