বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন বার্মিংহামে শেখ রাসেল দিবস’ পালন

প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২৩ | আপডেট: ৭:২৪:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২৩

মিজান রেজা চৌধুরী :

 

জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ বার্মিংহাম বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে উদযাপিত হয়েছে।

কমিউনিটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শেখ রাসেল দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ এই প্রতিপাদ্যে জাতীয়ভাবে ‘শেখ রাসেল দিবস’পালনের অংশ হিসেবে ১৮ই অক্টোবর বুধবার শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মাধ্যমে শেখ রাসেল দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। বার্মিংহাম বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার মোহাম্মদ আলীমুজ্জামান উপস্থিত সকলকে সাথে নিয়ে কেক কাটেন l এর পর মিশনের হল রুমে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠ শেষে শেখ রাসেলের জীবনের উপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বার্মিংহাম বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার মোহাম্মদ আলীমুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও দূতাবাসের কাউন্সিলর স্বর্ণালী চন্দের সঞ্চালনায় শেখ রাসেলের জীবন এবং তাঁর পরিবারের নানান দিক নিয়ে আলোচনা সভায় অংশ নেন মিশনের প্রথম সচিব নাজমুস সাকিব,মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ,সাবেক ছাত্রনেতা ফাইম ইসলাম লিমন,বার্মিংহাম বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল ইসলাম প্রমুখ l অনুষ্ঠানে বার্মিংহাম বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ নিরাপদ ভ্রমণের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমের প্রথম নাগরিক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের হাতে ই-পাসপোর্ট সেবার স্লিপ তুলে দেওয়া হয় ।

 

 

অনুষ্ঠানে শিশু রাসেলের হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম একটি হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে এ সময় বক্তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং শিশুদের অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশন এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি কর্তৃক শেখ রাসেলকে নৃশংস ও বর্বরোচিতভাবে হত্যা করায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।বক্তারা বলেন সেদিন নিষ্পাপ শিশু রাসেলও খুনিদের হাত থেকে রেহাই পায়নি।শেখ রাসেল আজ জীবিত থাকলে তিনিও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যৌগ্য উত্তরসূরি হিসেবে দেশ এবং জাতি গঠনে তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারতেন । কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী, ষড়যন্ত্রকারী ও বিশ্বাসঘাতকরা তা হতে দেয়নি। বর্তমান পৃথিবীতে বিদ্যমান সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও সংশ্লিষ্ট কনভেনশন অনুযায়ী ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু রাসেল হত্যা মানবতার চরম লঙ্ঘন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ। পরে শহিদ শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা, তার পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।