চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিলেন মিনিস্টার ঢাকার ক্রিকেটাররা। পুরোদমে চলছিল অনুশীলন। আন্দ্রে রাসেল নেটে ব্যাটিং করছিলেন। মাশরাফি বোলিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তামিম, মাহমুদউল্লাহরাও ব্যস্ত ছিলেন অনুশীলনে।
কিন্তু হঠাৎ এক হেলিকপ্টারের অবতরণে বন্ধ হয়ে যায় তাদের অনুশীলন। মাঠেই লেগে যায় হট্টগোল। ক্রিকেটারদের মধ্যে ছড়িয়ে যায় আতঙ্ক। হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে মাঠের মাঝে। যেখানে বাকিদের ক্যাচ প্র্যাকটিস চলছিল। হেলিকপ্টার নিচে নামতে দেখে তারা দ্রুত সরে পড়েন। তীব্র বাতাসে পুরো মাঠে তখন ধুলো উড়ছিল। খেলোয়াড়রা যার যার মতো করে মুখ ঢেকে নেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় এক মুমূর্ষু রোগীকে নিতে হেলিকপ্টারটি উড়ে এসেছিল। মানবিক কারণেই মাঠে নামার অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন শামীম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘হেলকপ্টারটি মানবিক কারণে মাঠে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে আগেই জানানো হয়েছে। আমরা ক্রিকেট বোর্ড ও ঢাকা টিমকে বিষয়টি অবহিত করি। পূর্বপাশে জায়গা ঠিক করা থাকলেও পাইলট ভূলবশত পশ্চিম পাশে অনুশীলনের কাছেই অবতরণ করে। এ কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’ শামীম জানান, হেলিকপ্টারে গাড়ি দূর্ঘটনার রোগী ছিলেন। গত দিন আগে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। রক্তক্ষরণ হওয়ায় দ্রুত সময় ঢাকা নেওয়ার জন্য হেলিকপ্টারটি আনা হয়েছে। হেলিকপ্টার উড়ে যাওয়ার সময়ও একই চিত্র পুরো মাঠে। ধুলো থেকে বাঁচতে ক্রিকেটাররা তাওয়ালে মুখ চেপে রাখেন। মাশরাফিকে দেখা যায় বড় ছাতার নিচে লুকাতে। এর আগেও একবার বিপিএলে এমন কাণ্ড হয়েছিল। ঢাকা ডায়নামাইটস দল অনুশীলন করছিল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। তাদের অনুশীলনে বিপিএলের আরেক দল রংপুর রাইডার্সের মালিকদের দুটি হেলিকপ্টার প্রায় একই সময় ল্যান্ড করে।