বিভিন্ন দেশে তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) খাতে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) নবনির্বাচিত নির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কেবল ভারত, জাপান বা কোরিয়ার মতো দেশ থেকে ঋণ গ্রহণ নয়; বাংলাদেশও বিশ্বের বিভন্ন প্রান্তে বিনিয়োগ করবে। আমরা এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেবো—লাইন অব ক্রেডিট বাংলাদেশ ইন্ট্রুডিউস করবে সাউথ এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশে। সেখানে আমরা ১০০ মিলিয়ন ডলার লাইন অব ক্রেডিট ইন্ট্রুডিউস করব।’
প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশে সরকারের নানা উদ্যোগ ও পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘হিউম্যান রিসোর্স হলো, বিজনেসফ্রেন্ডলি পলিসি হলো, টেকনোলজি হলো, ইনোভেশন হলো; এখন থাকল ইনভেস্টমেন্ট। জামানতবিহীন লোন একসময় স্বপ্ন ছিল। প্যান্ডামিকে আমরা ৪ শতাংশ সুদে এমন কোটি কোটি টাকা ঋণ দিয়েছি। এরপর স্টার্টআপদের জন্য ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট চালু করেছি। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের সাহস দিতে ঝুঁকি নিচ্ছে সরকার। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিডেট কোম্পানি নামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি ডিজরাপ্টেড কোম্পানি গঠন করে দিয়েছেন। এর বাইরে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২৩৬টি কোম্পানি এ অনুদান পেয়েছে। আরও হাজারো স্টার্টআপে আমরা বিনিয়োগ করতে চাই।’
বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি সামিরা জুবেরী হিমিকার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম। উপস্থিত ছিলেন—ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক খায়রুল আমিন, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিত কুমার, সিসিএ নিয়ন্ত্রক আবু সাঈদ চৌধুরী, এইচ প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মেহেদী মাসুদ, এটুআই প্রকল্পের পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মাদ হুমায়ূন প্রমুখ।