সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন সিলেট-২ আসনে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. আব্দুল মান্নান খাঁন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ^নাথ পৌর শহরের পুরান বাজারের একটি অভিযাত রেস্টেুরেন্টে তিনি এ মতবিনিময় সভা করেন।
মতবিনিময়ে বক্তব্যকালে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। কিন্তু আমি মনে করি, বাংলাদেশ অনেক উন্নত হয়েগেছে। আগামি ১০বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০৩৩ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত হবে। এই ১০টি বছর পরিকল্পনার মাধ্যমে যদি শুধুমাত্র যাকাতের টাকা গরিব ও অসহায়দের মধ্যে সঠিকভাবে বন্ঠন করা হয়, তাহলেই তা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রী এমপিরা বলেন ‘বাংলাদেশ গরিব দেশ’। তবে, প্রশ্ন হলো দেশ গরিব হলে দেশের ১৩ লাখ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেলো কেমনে। এই টাকা কোথা থেকে আসলো। কাজেই বাংলাদেশ গরিব নয়।
সিলেট-২ আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ও সাবেক দুই সাংসদের সমালোচনা করে ড. মান্নান বলেন, এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী যেমন তাঁর আমলে কোন উন্নয়ন করেননি। তেমনি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরীও তাঁর আমলে কোন উন্নয়ন করতে পারেননি। নিজ নিজ দলের কাছেও তাদের তেমন কোন গ্রাহণযোগ্যতা নেই। তাই এই আসনের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্নিত করতে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
আর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে তাকে নিয়ে টানাটানি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন শমসের মবিন- এমন মন্তব্যও করেছেন মান্নান। তিনি বলেন, দু’জন (শেখ হাসিনা-শমসের মবিন) দু’দিকে টানাটানি করায় কোনদিকে যাবেন প্রথমে তা ঠিক করতে না পারলেও পরবর্তিতে শিক্ষিত ও জ্ঞানীদের দল তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেন তিনি।
ব্রিটিশ সরকার ও জাতিসংঘ থেকে আলাদা দু’টি পেনশন ভাতা পান উল্লেখ করে ড. মান্নান আরও বলেন, তাঁর বিশ^াস সিলেট-২ আসনের জনগণ তাকে তাঁর ‘সোনালী আঁশ’ মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। আর নির্বাচিত হলে তিনি তাঁর বেতনের (সম্মানি) টাকাটাও নেবেন না। সেই টাকা তিনি গরিব অসহয়াদের মধ্যে বিলিয়ে দেবেন।
মতনিমিয় সভায় স্থানীয় সাংবাদিকরা ছাড়াও সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. আব্দুল মান্নান খাঁনের দুই মেয়ে ইয়ারুন আক্তার জেসমিন ও তাহমিনা আক্তার মুন্নি উপস্থিত ছিলেন।