বেলাল আহমেদ (আয়ারল্যান্ড প্রতিনিধি) : মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের বিনম্্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় নানা আয়োজনে আয়ারল্যান্ডের লেটারকিনিতে বাংলাদেশী কমিউনিটি ইন ডোনেগালের উদ্যোগে উদযাপন করা হয়েছে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে অন্যান্যবারের মতো এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো ” “Multilingual education is a pillar of inter generational learning” ” । আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশী কমিউনিটি ইন ডোনেগালের উদ্যোগে দুপুর ১টায় স্থানীয় লেটারকিনি আওরা লেজার সেন্টারে দিবসটি উপলক্ষে এক মাল্টিকালচ্যারাল ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। ওবায়দুর রহমান রুহেলের সঞ্চালনায় ডোনেগাল বাংলাদেশী কমিউনিটির সভাপতি শামিম আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্টানমালায় মহান ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস পটভূমি নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা ছাড়াও বিশ্বের ১২ টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় ২১শে ফেব্রুয়ারি কালজয়ী গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিয়ে পারি” প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্টানে যোগ দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ছাড়াও অন্যান্য দেশেীয়রাও ভ্রাম্যমাণ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের আতœত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করেন।
কাউন্টি ডোনেগালের স্বতন্ত্র সাংসদ থমাস প্রিংগল তারঁ মাকে নিয়ে অনুষ্টানে যোগ দিয়ে মাতৃভাষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন “ভাষার জন্য আতœত্যাগ সম্মান ও গৌরবের,প্রত্যেকের কাছে তাঁর মায়ের ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। এসময় তিনি আইরিশ ভাষার প্রতি আগ্রাসন পরিচালনা করা হয়েছে অভিযোগ করে বলেন আইরিশ ভাষা এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে, তিনি নিজেও একজন আইরিশ হয়ে আইরিশ ভাষায় খুব বেশী দক্ষ ও পারদর্শী নয়। এছাড়া অনুষ্টানে যোগ দেন ডোনেগাল ইন্টারকালচারাল প্লাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা মি: পল কিরনন। তিনি কমিউনিটির উন্নয়নে বাংলাদেশী কমিউনিটি ইন ডোনেগালের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভাষার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শন করার জন্য বাংলাদেশীদের অবদান বিশ্ব স্বীকৃত বলে মন্তব্য করেন। অনুষ্টানে ১৫ সদস্যের লেটারকিনি সিনিয়র একরোডিয়ান ব্যান্ড,আইরিশ কবিতা আবৃত্তি ছাড়াও জিম্বাবুয়ে,ঘানার সংগীত শিল্পীসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ২৫ জন শিল্পী মাল্টিকালচ্যারাল সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া আন মেরী মিকমারা এবং বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে গান পরিবেশন করেন উজ্জ্বল দাস দূর্জয়,মিসেস মীনা খাঁন,মিসেস ইসরাত মুন ও প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মেও প্রবাসী বাঙালী শিশু কিশোররাও বাংলা কবিতা আবৃত্তি,দেশাত্মবোধক গান,চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীতে অংশ নেয়।