সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
৫ মিনিটের ঝড়ে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ১২টি গ্রামের ৫শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধস্ত হয়েছে। একই ঘটনায় অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতা ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ক্ষতিগ্রস্থ সদরপুর, রায়পুর কামরূপদলং, চন্দ্রপুর সহ তার আশপাশ এলাকার ঘর ও বসত বাড়ী পরিদর্শন করেছেন। এসময় সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা, শান্তিগঞ্জ থানার ওসি কর্মকর্তা কাজী মোক্তাদির হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শাহাদাত হোসেন ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার, শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী মোহাম্মদ জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সাধারণ সোহেল তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (৩১ মার্চ) দিনগত রাত১০টার দিকে ঝড়ে উপজেলার পশ্চিম পাগলা ও জয়কলস ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের সাড়ে ৫ শত ঘর-বাড়ি বিধস্ত হয়। এঘটনায় অন্তত অর্ধশাতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই ইউনিয়নের ইনাতনগর, রায়পুর, কাদিপুর, কান্দিগাঁও ও শত্রমর্দন গ্রামে প্রায় ২০০ ঘর বাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে, গাছপালা ভেঙেছে বেশি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইকবাল হাসান জানান, ঝড়ের পরপরই স্থানীয় পাগলা বাজারে অবস্থান করে সেহরীর সময় পর্যন্ত ঝড়ের কবলে পড়ে আহত ২৫/৩০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল হাসপাতালে প্রায় ৫০/৬০ জন আহতদেরকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা জানান, ঝড়েরর কবলে পড়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য পাগলা বাজারে রাতেই অস্থায়ী চিকিৎসা ক্যাম্প চালু করে আহতদেরকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ভোর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছ। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫০ জনের মতো রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারনের জন্য ৭/৮টিম মাঠে কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ১০ টন চাল বরাদ্দ হয়েছে। ঢেউটিনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।