সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান:
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নূর মোহাম্মদ (২২) ও আব্দুল আউয়াল (৫৫) নামের দুই ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে অপর আহত আব্দুল আউয়ালের মৃত্যু হয় এবং সোমবার রাতে সিলেট এম এ জিওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার্ধী অবস্থায় নূর মোহাম্মদের মৃত্যু হয়।
নিহত নূর মোহাম্মদ উপজেলার থলেরবন্দ গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে ও আব্দুল আউয়াল একই গ্রামের মৃত নইমুল্লার ছেলে।
সোমবার (২ এপ্রিল) রাতে তারাবির নামাজের পর উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামের আশিক আলীর ও শের আলীর পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার থলেরবন্দ গ্রামের আশিক আলীর বাড়ির সামনে শের আলীর লোকজন একটি ঘোড়া বেঁধে রাখে। এ ঘোড়ার লাথিতে আশিক আলী ছেলে ফরিদ আহত হয়। এঘটনায় আশিক আলীর ভাই সাহার আলী, শের আলীকে আশিক আলীর বাড়ির সামনে কেন ঘোড়া বেঁধে রেখেছে জানতে চাইলে শের আলীর লোকজন সাহার আলীকে মারধর করেন। সাহার আলীকে মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে রাত ১২ টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে আশিক আলী পক্ষের নূর মোহাম্মদ ও শের আলীর পক্ষের আব্দুল আউয়ালসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের রাতেই সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আহত নূর মোহাম্মদকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে রাত ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সংঘর্ষ কবলিত গ্রামটিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ উভয় পক্ষের ৬ জনকে আটক করেছে।