রিয়াদ আহাদ : সাফল্যে উদ্ভাসিত হয়ে মেয়র হিসেবে শপথ নিয়ে ইতিহাসের পাতায় যুক্ত হলেন যুক্তরাজ্যের মিডল্যান্ডসের সান্ডওয়েল কাউন্সিলের কাউন্সিলর সাইয়েদা আমিনা খাতুন এমবিই। তিনি প্রথম বাঙালী মহিলা হয়ে যুক্তরাজ্যের মিডল্যান্ডসের সান্ডওয়েল কাউন্সিলে মেয়র হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। মুলধারার বিভিন্ন রাজনীতিবিদ,ব্যবসায়ী,পেশাজীবিসহ বাঙালী কমিউনিটির নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে গত ২২ মে সান্ডওয়েল কাউন্সিল হলে আড়ম্ভরপূর্ণ এক অনুষ্টানের মাধ্যমে তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রথম কোনো বাঙালী মহিলা নয় ; মুসলীম রমণী হিসেবেও সান্ডওয়েল কাউন্সিলের প্রথম মেয়র হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করলেন সাইয়েদা আমিনা খাতুন এমবিই। মাত্র চার শতাংশ বাঙালীর বসবাস সান্ডওয়েল কাউন্সিলে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে তিনি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন।
নানা প্রতিক‚লতার মধ্যে কিশোর বয়সে সামাজিক কর্মকান্ড ও মুলধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে সাইয়েদা আমিনা খাতুন এমবিই যুক্তরাজ্যের প্রথম বাঙালী মহিলা কাউন্সিলর এবং কাউন্সিলের ডেপুটি লীডারসহ স্থানীয় লেবার পার্টির গুরুত্বপুর্ণ নানা পদে আসীন ছিলেন। তিনি কমিউনিটির মানুষদের সহযোগিতার জন্য প্রায় তিন দশক ধরে বাংলাদেশী উমেন এসোসিয়েশনের তত্বাবধানে টিপটন মুসলীম সেন্টারসহ দুটি সেন্টার পরিচালনা করছেন। কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করে ২০০৪ সালে বৃটেনের রাণী কর্তৃক এমবিই খেতাকে ভুষিত হওয়া সাইয়েদা আমিনা খাতুন এমবিই ১৯৯৯ সালে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে এখন অবধি প্রতিবারই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তিনি তাঁর কনিষ্ট মেয়ে সাইয়েদা হাসনাকে অফিসিয়ালভাবে মেয়রেস হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া সাইয়েদা আমিনা খাতুন এমবিই একেবারে রক্ষণশীল পরিবার থেকে বড় হয়েও পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা রক্ষা করে দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্যারিয়ারে থেকে এখন সান্ডওয়েল কাউন্সিলেলর মেয়র হয়েছেন। তিনি তাঁর এই সাফল্যে নানাভাবে সহযোগিতা ও ভুমিকা রাখায় বাঙালী কমিউনিটির সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি বাঙালীদের বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে মুলধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত হবার আহবান জানিয়ে বলেন,আমি যখন পেরেছি অন্যরাও পারবে।