ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব, ভেঙে পড়েছে গাছপালা. বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা। বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পড়েছে গাছপালা। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে সোমবার বিকেল ৪ টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা
পর্যন্ত ( এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) টানা ২৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
জানা যায়, সোমবার রাতে ঘুর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে আঘাত আনার পর থেকে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝড়োহাওয়া বইতে থাকে। জগন্নাথপুর উপজেলায়ও সোমবার থেকে বৃষ্টির সঙ্গে প্রচণ্ড বাতাস বইতে থাকে মঙ্গলবারও ঝড় বৃস্টি বইছে।
সামাজিক সংগঠন ফেয়ার ফেইস জগন্নাথপুরের স্থায়ী কমিটির মহাসচিব এম শামীম আহমদএম শামীম আহমদ জানান, প্রচণ্ড তাপদাহের পর বৃস্টির দেখা পেয়ে মানুষের মধ্যে প্রথমে স্বস্তি দেখা দিলেও গত দুইদিনের টানা ঝড় বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত
হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ নেই, ইন্টারনেট নেই।
এমনকি মোবাইল নেটওয়ার্কের সেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে।
অচল হয়ে পড়েছেন জগন্নাথপুরের মানুষ।
নলুয়া হাওর ব্যষ্টিত জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিদুল ইসলাম বকুল জানান, ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে হাওরাঞ্চলেও। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে। বিরামহীন বৃষ্টিতে লোকজন ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। দমকা হাওয়ার কারণে দরজা জানালা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। নিন্ম আয়ের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ফলে দুর্ভোগে আছেন লোকজন।
পৌরশহরের ইকড়ছই আবাসিক এলাকার বাসিন্দা গৃহিনী মেহজাবিন জানান, টানা ২২ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকায় মটরের পানি তোলা যাচ্ছে না। ফ্রিজে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষ কষ্টে আছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা আবাসিক প্রকৌশল (বিদ্যুৎ) আজিজুল ইসলাম জানান, অব্যাহত ঝড়ো হাওয়ায় অসংখ্য গাছের ডালপালা ভেঙে বিদ্যুৎ মূল ৩৩ হাজার কেভি লাইনে পড়েছে। যেকারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন রয়েছে। তবে আমাদের লোকজনকে কাজ করছে। কাজ শেষ হলে সংযোগ দেয়া হবে।